অটোয়া, শনিবার ৫ এপ্রিল, ২০২৫
পথ হবে আঁতুড়ঘর? - মৈত্রেয়ী সিংহরায়

বু ওরা ছুটছে
এবার লড়াই তোমার সঙ্গে প্রকৃতি,
দেশের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেছে
অনেক আগে, 
যেটা তার নিজের দেশ
নিজের দেশ?
এভাবেই দামিনী কামিনীর জীবনে
ঝড় আসে, 
ঝড়ের পর ঝড় আসে
ঝড় বড় হতে হতে ক্রমে বৃষ্টি নামে।
আবার রোদ.....
রোদের উত্তাপে জ্বলেছে সারা দেহ,
শরীরের শেষ রক্তটুকুও 
বুঝি শুষে নিল দাবদাহ।

ঈশান কোণের বড়ো মেঘটা জানায়
ঝড় উঠবে এখনি,
বাপটার সাইকেলের চাকা 
নিষেধ মানেনা চলার,
দুলে ওঠে পথের দুপাশের 
বড়ো বড়ো ডাল,,....
তবু রানার ছুটছে রানার,
পথ যে অনেক দূর।
দক্ষিণের জানলায় বসে
বৃষ্টির শব্দ শোনা হয় নি কখনো,
কেমন করে নাচে ভিজে ভিজে ঘাস পাতা,
ঘরের চাল ভেদ করে বৃষ্টি
জীবনটা কাব্য নয় শুধুই গদ্য।

দু-একটা পাতা মাথার ওপর 
দিয়ে জানিয়ে গেল
প্রচন্ড ঢেউ তুলে কালো রঙ
হচ্ছে মেঘগুলো....
দু এক ফোঁটা বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া,
হিম ঠান্ডা বরফ কচি কচি হাতগুলো
আকাশ ভাঙা প্লাবন বলবে নিশ্চয়
তোমরা করবে জয়,
আত্মনির্ভরশীল ভারত।

দুটো হাত কানে চেপে ধরে
আলগা করে দামিনী,
কে কাঁদে ওঁয়া ওঁয়া করে
তুমি কি আসছ ঈশ্বর?
পথ হবে আঁতুড়ঘর?

মৈত্রেয়ী সিংহরায়। মেমোরি, বর্ধমান