অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
জনি কর্মকার-এর তিনটি কবিতা

উদাসীন
নের উদাসিনতা, নিশ্চুপ  চাহনি,
যুক্তিহীন সহ্যশক্তির নির্ণয় 
যে নিখাঁদ সচ্ছ্ব একটা বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা খুঁজছে। 
এই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা আবার কি?
যা নির্ণয় করেছেন, হয়তো তাই হবে।

ঊর্ণাজালে ত্রিভুবন সাজিয়েছে তাকে ঘিরে,
উঁচু চিবুক তীক্ষ্ণ নয়ন একটি কাঠ গোলাপ,
সম্পর্কের এক অমিল মাত্র, কাকের আওয়াজ?
কোকিলের কলরব, তটিণী-র কলকল
প্রাণ দিয়ে যায় নতুন সঞ্চার, তবে
শুষ্কের ওষ্ঠের খাদে লুকায়িত লোহিত কণা!
বাঁচার আকুতি করে এ তার তিক্ত জল্পনা,
মেয়েটিও রুষ্ট হয়েছিল? 
এ কি তবে কবির কল্পনা!

আবছায়া
হিমশীতল নকশা যার মনে, ছিদ্রয়িত
পথে কল্পিত রঙের রেখা প্রবাহমান
কল্পতরুর অবকাশ গহনে।
রক্তমাখা আঁচল ছায়ার গায়ে জড়িয়ে 
আগন্তুক ভিড়ছে, ঝাপসা মিছিলে।
বৃষকাঠ ফিরিয়ে প্রস্ফুটিত রুদ্র 
মেখেছিল ধরত্রীর আধারে।

দেবী
দেবী তোমার আরধনায় মগ্ন
আমি এক অধম পূজারী।
রক্তচন্দন ধুতরা ফুলে যদি না পাই মন
তবে কিসে পূজিবে তোমারে? কহ কথা দেবী!
বেলা যে চলে যায়
অষ্ট প্রহরে যদি না সপি তোমারে,
আমার আরধনা যায় যে বিফলে।
পুষ্পমাল্য আনিয়েছে যে জন
ব্যথিত হবে যে সে কিসের কারণ? 
মুখ ফিরিয়ে নিও না দেবী
প্রদীপ জ্বালিয়ে বিষাদে বসে
মন্ত্রে মুগ্ধতায় ধূপগন্ধী ছাড়িয়ে 
অবজ্ঞা কিসে তোমার?

জনি কর্মকার। ত্রিশাল, ময়মনসিংহ