অটোয়া, সোমবার ৭ জুলাই, ২০২৫
শঙ্খশুভ্র পাত্র -এর দু'টি কবিতা

না-লেখার ফাঁকে
মার তো ছুটি নেই— শুধু এক কাটাকুটি খেলা
খেলতে খেলতে মুঠি শক্ত করে বসে থাকি, চুপ...
ঝুপ করে সন্ধে নামে — নামে কী বা এসে যায় বেলা
গন্ধে তুমি মাতোয়ারা — ছন্দে ফের জ্বলিতেছে ধূপ ৷

এ-হেন চলিত কথা আগে কেহ বলে নাই, লেখা,
সাদা পাতা জানে ওই বজ্রমুঠি, কাটাকুটি ঘোর...
একবার বন্দি হলে — সন্ধিপত্র থাকে না বেকার,
প্রতিটি রাতের শেষে দেখা দেয় অমলিন ভোর ৷

লেখার নিবিড়ে পাখি, হে পাঠক, অকপট ডানা
মেলতে মেলতে ছায়া — অপরূপ রৌদ্র-ধানশীষে
অন্নময় গান — এই প্রাণ — এই আলো একটানা
শপথে স্থাপিত হলে — কাটাকুটি, কী জানি বিশেষ...

আমার তো ছুটি নেই — মুঠিখানি খুললেই, ফাঁকা
না-লেখার ফাঁকে দেখি : একমনে খেলছে আকাশ ৷

প্রীতিইচ্ছা
প্রীতিইচ্ছা দিতে পারে এই যে শ্রাবণধারাজল
বনে-বনে কুসুমিত ভোরের পাখির কিচিমিচি,
দরজা-জানালা খুলে বসে আছি — বৃথা মিসড্ কল
মোবাইল ছেড়ে আজ পোস্টকার্ডে লিখি মিছিমিছি

তুমি সে-বাল্যের প্রেম, ফ্রেমে আঁটা অবাক ধূসর
ভুল করে আসবে কি ? ফের হোক কানামাছি শুরু
"চিরকাল আছি" — এই মুগ্ধতায় কখনও বেশর
ঝিকিমিকি হেসেছিল — তারপর সহসা ফুড়ুৎ

সাহসে যে কতদিন প্রীতিইচ্ছা নিয়ে ঘোরাফেরা
মিসড্ কলে  ফিরে আসে —কলিজা আবার ধুকপুক,
কলেজের ছায়াবীথি — স্মৃতিধন্য হোস্টেলের ডেরা
মনে পড়ে অচিরাৎ — সুখ-দুঃখ আর ভুলচুক !

প্রীতিইচ্ছা বাস্তবিক — কল্পনার ইতি কোনওদিন
ফুরোয় না বলে আজও তার কাছে থেকে যায় ঋণ...

শঙ্খশুভ্র পাত্র। পশ্চিমবঙ্গ