অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
শিপ্রা পাল-এর দু’টি কবিতা

দ্বিতীয় ঈশ্বর 
লো আরো একবার বাঁচি——
এখনো নীলাকাশ, বর্ষাতি কাকভেজা সকাল
যাত্রী নিবাস, স্টেশনে সুরেলা কণ্ঠের ঘোষণা 
তুমি আসবে, ডুয়ার্সে নিরিবিলির অরণ্যে আবার!!

আতঙ্ক সর্বত্র, তাই বলে কী স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছো——
ভ্যানগগের দ্যা স্টারি নাইট নাকি নেপোটিজমে ডুবে যাচ্ছে সব
একান্নবর্তী চাঁদ বাগানে সিঁড়িটা ঝুলে আছে
দার্জিলিং চা’য়ের সোনালি রঙ আর টয়ট্রেনের ধোঁয়ার গন্ধেটা এখনো পাই!! 

জোয়ানদের নিজস্ব কোনো স্বার্থ নেই, শুধু একটা প্রতিজ্ঞা——
ভালোবাসার সীমান্ত আকাশ কাঁটাতারহীন বিশ্বাস 
সবসময় সুইসাইড নোট পাওয়া যায় না বা লেখা হয় না
কাগজের নৌকো ভাসছে, ভাওয়াল ফিরেছিলেন সন্ন্যাসী হয়ে!!

দ্বিতীয় ঈশ্বরের সাথে আমাদের দেখা হয় কখনো কখনো——
খেজুর পাতার ফাঁকে, সূর্যাস্তে ঝিরঝির দীপ্তিতে পুনরায় জীবন
চলো আরো একবার হাঁটি এবং যে’কটা দিন বাঁচি
একসাথে মিলেমিশে, দ্বিতীয় ঈশ্বর হবে তুমি!!

বর্ষা এসে গেলো
ঠাঁয় দাঁড়ানো সম্ভব নয়, একটা কিছু আঁকড়ে ধরে ছোটা——
প্রতিটি সীমারেখা কখনোই ধরা যায় না
অনেকদিন হলো ভয়ংকর অদৃশ্য একটা শক্তিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি
কেও নেই কাছাকাছি, হয়তো আছে বহুদূরে!!

ইচ্ছে করলেই ছুঁতে পারবে না সহসা ——
সভা-সমিতি কিংবা যে কোনো তাজা খবর
আজকাল বড্ড বেশি সজাগ হয়ে ওঠেছি আমরা
অথচ কেন্দ্রবিন্দুটি ঢাকা আছে গোলযোগের হৃদয়ে!!

বর্ষা এসে গেলো, ইলশেগুড়ি ঝমঝম——
কদমের ভারে নুইয়েছে গাছ, ফুলে-ফেঁপে যায় জলাশয় 
নামহীন বৃষ্টির দুপুরগুলো দীর্ঘতর শিরোনাম
ভেজা পাখির ডানায় উদাস অপেক্ষা!!

করিডোরে আজ বড্ড হাওয়া, সবটা নষ্টের খাতায় নেই
আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না, স্মৃতিটুকু ছাড়া!!

শিপ্রা পাল। দার্জিলিং