অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
যুবকের ফাঁসি – ফরিদ তালুকদার

বশেষে এখানেই যবনিকাপাত…!

আমার উত্থান কিংবা পতন, দেয়ালটা মুখোমুখি ঠিকই   
গতিহীনতা তো কোন জীবনের গল্প হতে পারে না
সৃজনের ভগ্ন বিলাসে জগদীশ্বরের আর্তনাদ,
মৃত্তিকার পরে লেখে আজ নূতন ধারাপাত
নিয়নের হলুদ আলোর নীচে রাত জাগে নিষাদদের সংসার
ডুবতে ডুবতে বোধের রশিতে এখনো পড়ে শেষ টান
পাথরের বিশুদ্ধ আগুনের চেতনাকে গ্রাস করা  বেনিয়া সভ্যতা
নিয়ত ন্যুব্জ গর্দানে চাপিয়ে রাখে অবদমনের ভার…!

মরুর পথ যাত্রী বাতাস আর এক বেদুঈনকে শুধায় পথের সন্ধান 
অমানিশার ঘুম ভেঙে স্বপ্নের কঙ্কাল আদিগন্ত খোঁজে সার্বভৌমত্বের ঠিকানা
জিউসের ঈগলেরা এখনো ঠুকরে খায় মানবের হৃৎপিণ্ড 
আমাদের জীবনে মিথ বলে কিছু নেই…. 
কেউ জানেনা কোথায় হারিয়ে গেছে হারকিউলিসের তলোয়ার
উদয়-অস্তের সীমানায় প্রমিথিউসদের হৃদয় করে আত্মগোপনের সন্ধান

একশত সত্তুর বার আমল নামার পরিবর্তন করা হয় সকাল সন্ধ্যায়
দাঁড়িয়ে তবু ঠায় কালো দাগের সীমারেখায়
অবাঞ্ছিত শব্দের অভিধান গুলো বারবার লেখা হয় পুরনো ফর্মায়
চাঁদের রূপালী শয্যায় জেগে ওঠে সব শোকার্ত ইতিহাস 
জীবনের দূর্বিনীত আকাংখাটির নামই তো শুধু বেঁচে থাকা 
মানুষের ভালোবাসা গুলো সে হাটে নিত্য বিকিয়ে যায় নীলিমা…!!

ধর্ম যুদ্ধের রক্ত কখনো তো মাটিকে করেনি উর্বর
এক ডজন খুনের বিনিময়ে যদি আসে একটা আকাশের মুক্তি 
তাহলেও হয়তো সওদাটা মেনে নিব নির্দিধায়…!
বড়জোর চৌদ্দ পাতার নির্দেশ নামায় ঘোষিত হবে ফাঁসির আদেশ
তাতে থাকবে শুধু আমার এক রাতের প্রলাপের বর্ণনা
সভ্যতার নর্দমায় আমার আজন্ম কিংবা,
চব্বিশ বছর ধরে…  
একটু  একটু করে খুন হয়ে যাওয়ার দৃশ্য সেখানে স্হান পাবে না
তবুও কোন আক্ষেপ থাকবে না আমার
ফাঁসির ফরমান পাঠ শেষ হওয়ার আগেই… 
এতোদিনের উদভ্রান্ত সেই আকাশটাকে 
আমি লিখে দিয়ে যাবো এক মুক্তির দলিল…
তোমরা সাজিয়ে নিও তাকে নিজেদের মত করে…!!

ফরিদ তালুকদার,
টরোন্ট, কানাডা