অটোয়া, রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
‘বাংলাদেশের’ প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম - ফজলুল হক সৈকত

     ভূমিকা: দুটি প্রশ্ন পাঠকের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করে আলোচনা শুরু করতে চাই: ১. বাংলা বানান প্রমিতকরণের কর্তৃপক্ষ কে? ২. কোন বাংলা প্রমিতকরণ করার কথা বলা হচ্ছে? - কেননা, এখন তো তিন রকমের বাংলার অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে: ক. বাংলাদেশের বাংলা (রাষ্ট্রভাষা); খ. ভারতের বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরা রাজ্যের সরকারি ভাষা); এবং গ. বিশ্ববাংলা (উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে বসবাসরত অভিবাসী বাঙালির ব্যবহৃত বাংলা, বিবিসির বাংলা, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা, রেডিও চায়না ইন্টারন্যাশনাল-এর বাংলা, ইউনিকোড বাংলা বা প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত বাংলা প্রভৃতি।) 
     কেন এই নিবন্ধ: সম্প্রতি ‘ইদ’, ‘গোরু’ আর ‘ব্যাবহার’ বানান নিয়ে ভাবতে গিয়ে এই রচনার সূত্রপাত। ‘ঈদ’ কোন শব্দ? ভিন্ন ভাষার শব্দ হলে, সেই ভাষায় এর বানানভঙ্গি কী, তা দেখতে হবে। কয়দিন পরে ‘কোবিতা’, ‘গোদ্য’ লিখতে হয় কি-না, সে ভাবনায় মনে চেপে বসেছে। আমরা যে ভিন্ন ভাষার সকল শব্দ (‘বিদেশি’ শব্দ বলছি না, কেননা, শব্দ বিদেশ বা অন্য দেশ থেকে আসে না, আসে অন্য ভাষা থেকে। কাজেই পরিভাষাটি হতে পারে ‘বিভাষী’) ই-কার দিয়ে লেখার প্রচলন শুরু করতে চাই, সেখানে কি সকল সমস্যার সমাধান আছে? (ইংরেজি Ship/Sheep কীভাবে লিখবো? দুটোই কি ‘শিপ’ হবে? তাহলে কি শ্রোতার কাছে শব্দগুলোর অর্থ যথার্থভাবে প্রকাশ পাবে? ‘গোরূপ’ থেকে ‘গরু’ উৎপত্তি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ‘গরু’ লিখলে ভুল হবে- এমনটি কেউ বলেনি। আবার বাংলা একাডেমি আইনে ‘ব্যবহার’ বানান ব্যবহৃত হয়েছে। দেখুন: ধারা-১০ (উপধারা-২১)। প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম-এও প্রয়োগ রয়েছে ‘ব্যবহার’ শব্দটির (‘তবে এগুলির সমাসবদ্ধ রূপে ঈ-কারের ব্যবহারও চলতে পারে’)। বিকল্প বর্জন করার নীতিটা কী? দুটি বা তার অধিক রূপের মধ্যে যেটি বেশিরভাগ মানুষের কাছে পরিচিত, সেটিই তো গ্রহণ করা অধিক যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়। বাঙালির ঐতিহ্য রক্ষা করা যেমন সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনীতিবিদদের কর্তব্য, তেমনই ভাষাতাত্ত্বিকদের দায়িত্বও বোধ করি, পরিবর্তনের খুব বেশি প্রয়োজন না হলে, বানানের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখা।
     বাংলা বানান প্রমিতকরণের প্রচেষ্টা: একবার দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে দুই বাংলায় (ভারত ও বাংলাদেশ) বাংলা বানান সংস্কার ও প্রমিতকরণে কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যালোচনা করলে দেখা যায় - বাংলা বানান প্রমিতকরণ-প্রচেষ্টার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে: প্রকাশনা সংস্থার উদ্যোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ, সরকারি উদ্যোগ, বোর্ডের উদ্যোগ, একাডেমির উদ্যোগ, পত্র-পত্রিকার উদ্যোগ প্রভৃতি। একনজরে গত ৯৫ বছরের প্রচেষ্টাগুলো দেখে নেওয়া যেতে পারে: ক. বিশ্বভারতী প্রকাশনা সংস্থার বানানের নিয়ম (১৯২৫, সুনির্দিষ্ট বানানে রবীন্দ্র রচনাবলি প্রকাশের লক্ষ্যে); খ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত ‘বাংলা বানানের নিয়ম’ (১৯৩৬); গ. পূর্ব-পাকিস্তান সরকার কর্তৃক গঠিত ‘পূর্ব-বাংলা ভাষা কমিটি’র বানান সংস্কার প্রস্তাব (কার্যক্রম আরম্ভ: ১৯৪৯, প্রতিবেতন পেশ: ১৯৫৮); ঘ. বাংলা একাডেমির বানান সংস্কার কমিটির সুপারিশ (১৯৬৩); ঙ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বানান সংস্কারবিধি (১৯৬৭, বাংলা ভাষা, ব্যাকরণ ও বর্ণমালা সংস্কার ও  সরলায়ন ছিল এর লক্ষ্য); চ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বানান সংস্কার চেষ্টা (১৯৮০ ও ১৯৮৫); ছ. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও টেক্সট বুক বোর্ড, ঢাকা (১৯৮৮ ও ১৯৯২); জ) আনন্দ বাজার পত্রিকা বানানবিধি (১৯৯১); ঝ. বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (১৯৯২, সংশোধিত সংস্করণ ২০০০, পরিমার্জিত সংস্করণ ২০১২); ঞ. পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি গৃহীত বানানবিধি (প্রস্তাব ১৯৯৫, গ্রহণ ১৯৯৭)।
     প্রসঙ্গত, এছাড়া বিশ্ব বাংলার সমন্বয়সাধন ও সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে, বিশেষ করে ইউনিকোডের বাংলার নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় নির্ধারণের জন্য, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তারিখে ঢাকায় বিটিআরসির প্রধান সভাকক্ষে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ‘ডোমেইনে বাংলা লিপির ব্যবহারবিধি প্রণয়ন’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারত) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রফেসর মহাম্মদ দানীউল হক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. জিনাত ইমতিয়াজ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর শিশির ভট্টাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএসের পরিচালক প্রফেসর ড. স্বরোচিষ সরকার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. ফজলুল হক সৈকত, ভাষাপ্রযুক্তি গবেষণা পরিষদের (ভারত) ভাষাপ্রযুক্তিবিদ জনাব রাজিব চক্রবর্তী, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্মা, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভার্নেন্স ফোরামের মহাসচিব প্রমুখ। এছাড়া উক্ত সভায় জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারত) অধ্যাপক পাওনাম গুনিন্দ্র, গৌহাটী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারত) অধ্যাপক দিপ্তি ফুকান পাটিগিরী প্রমুখের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এই কর্মশালায় মৌলিক প্রশ্ন ছিল: বিশ্ব বাংলার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে? বাংলাদেশের, না-কি ভারতের? দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রণের চেয়ে ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রিত হলে এর যৌক্তিকতা বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বলে সভায় মতামত ব্যক্ত করা হয় - কেননা, বাংলা ভারতের রাষ্ট্রভাষা নয় - বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। তবে, অবশ্যই ভারতের বাংলা ভাষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত ও পরামর্শও গুরুত্বের সাথে গ্রহণের কথা বলা হয়। 
     বাংলা বানান প্রমিতকরণের কর্তৃপক্ষ কে: বাংলা একাডেমি আইন ২০১৩, ধারা-১০: ‘একাডেমির কার্যাবলি’র উপধারা (৩) বলছে: ‘বাংলা ভাষার প্রামাণ্য অভিধান, পরিভাষা ও ব্যাকরণ রচনা, রেফারেন্স গ্রন্থ, গ্রন্থপঞ্জি এবং বাংলা ভাষায় বিশ^কোষ প্রণয়ন, প্রকাশন ও সহজলভ্যকরণ’; উপধারা (৫) বলছে: ‘বাংলা শব্দের প্রমিত বানান ও উচ্চারণ নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ’; উপধারা (১৩) তে বর্ণিত: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা বহির্বিশ্বে প্রচার ও পরিচিত করিবার জন্য বিদেশে সেমিনার ও বইমেলার আয়োজন করা এবং বিভিন্ন দেশে বাঙালি অভিবাসী এবং তাহাদের নূতন প্রজন্মের সহিত বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও ঐতিহ্যের সংযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ’; উপধারা (২১)-এ রয়েছে: সরকার কর্তৃক অনুরোধ করা হইলে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাংলা ভাষায় দক্ষতা অর্জন, বাংলা বানান রীতি ও ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে বাংলা বানানরীতি প্রণয়ন ও প্রচলনের দায়িত্ব বাংলা একাডেমির এবং অন্যান্য সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রচার-মাধ্যম আলাদা বানানরীতি প্রবর্তন করতে পারে বলে মনে হয় না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ‘সরকারি কাজে ব্যবহারিক বাংলা’ (২০১৫) ও ‘সরকারি কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহারের নিয়ম’ (ম্যানুয়াল, ২০১৭) নামে দুটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত পুস্তিকার ভূমিকায় লেখা হয়েছে: “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রমিত বানানরীতি অনুসরণের অনুশাসন প্রদান করেন। তদনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে ‘সরকারি কাজে বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানরীতি অনুসরণ’ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।” এর উপক্রমণিকায় বর্ণিত আছে: ‘বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানরীতি ইতোমধ্যে পাঠ্যপুস্তকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুসৃত হচ্ছে।’ অপরদিকে, ‘পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি’ সম্পর্কে উইকিপিডিয়া জানাচ্ছে: ‘পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠিত বাংলা ভাষার সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ ও ঐতিহ্যরক্ষার লক্ষ্যে ফ্রান্সের আকাদেমি ফ্রঁসেজ-এর আদলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের একটি অঙ্গ হিসাবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে এটি একটি স্বশাসিত সংস্থার মর্যাদা পায়। যদিও বাংলা আকাদেমি কর্তৃক প্রচলিত ভাষাসংক্রান্ত সংস্কারগুলি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নয়, তবু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সংস্কারগুলির প্রচারে সচেষ্ট থাকেন। ত্রিপুরা সরকারও সম্প্রতি এই সংস্কারগুলি বিদ্যালয়স্তরে চালু করেছেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস বা রামকৃষ্ণ মিশনের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে বাংলা প্রকাশনার ক্ষেত্রে বাংলা আকাদেমির নিয়মাবলি মেনে চলেন।’
     কার জন্য এই প্রমিত বাংলা বানান: বাংলাদেশের সাধারণ জনগোষ্ঠী, শিক্ষিত সমাজ, গবেষক, সাংবাদিক, লেখক-সাহিত্যিক - কার জন্য প্রণীত হয়েছে ও হচ্ছে এই প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম বা আধুনিক বাংলা অভিধান? পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিংবা প্রকাশনা সংস্থা বা সাহিত্য সমিতিও বিভিন্ন সময়ে বাংলা বানানের নিয়ম বা বিধি বিষয়ে গ্রন্থ রচনা ও প্রকাশ করেছে। সেগুলোর বিষয়য়ে বাংলাদেশ সরকার কিংবা বাংলা একাডেমি কিংবা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির কোনো বক্তব্য বা অবস্থান জানা যায়নি। বাংলাদেশের জনগণের বাইরে ভারতের বাঙালি এবং বিশ্ব বাংলার অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্যও বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানান ও বানান অভিধান বিষয়ক পুস্তিকা বা গ্রন্থগুলো প্রযোজ্য কি-না, তা বোঝা যায় না। ভারত-বাংলাদেশের বাইরে বাংলা ভাষার প্রয়োগকারি সংস্থা ও বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম কোন বানাননীতি অনুসরণ করছে? তাদের সাথে এই একাডেমি বা আকাদেমি কোনো যোগাযোগ, সহযোগিতা আদান-প্রদান ও সমন্বয়ের চেষ্টা করেছে কি?
     শেষকথা: যদি তিন বাংলার মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টার উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তাহলে হয়তো বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম একসময় ‘বাংলাদেশের প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম’-এ পরিণত হবে। কারণ ভারতের বাংলা প্রমিতকরণের দায়িত্ব এদেশের নয়। আবার বিশ্ব বাংলায় ভারত-বাংলাদেশ উভয়েরই প্রতিনিধি ও উত্তরাধিকার রয়েছে। ‘বাংলাদেশের’ প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মের সাথে অন্যান্য বাংলার বানানের সমন্বয়-সাধনের প্রচেষ্টা হতে পারে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তা করা না গেলে একসময়, বিভিন্ন রকম ইংরেজির মতো (আমেরিকান ইংলিশ, ব্রিটিশ ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়ান ইংলিশ, কানাডিয়ান ইংলিশ প্রভৃতি), আমাদেরকেও বলতে হবে ‘বাংলাদেশের বাংলা’, ‘ভারতের বাংলা’ এবং ‘বিশ্ব বাংলা’।

ফজলুল হক সৈকত। বাংলাদেশ 
(লেখক: কবি-গল্পকার-কলামিস্ট; সংবাদ পাঠক, বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা; ফ্রেঞ্চ ভাষার প্রশিক্ষক; শিক্ষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)