অটোয়া, রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
হুমায়ূন আহমেদ যে কারণে আজো স্মরণীয় - মিল্টন বিশ্বাস

     কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিল্পের আরো অনেক মাধ্যমের নিবিড় ধ্যানী হুমায়ূন আহমেদ বড় অসময়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মাত্র ৬৪ বছর বয়সে ইহধাম ত্যাগ করেন। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণায় জন্ম বাংলা সাহিত্যের অবিস্মরণীয় হুমায়ূন আহমেদ ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় লিখেছিলেন ‘নন্দিত নরকে’র মতো আপাত সহজ কিন্তু জীবনের জটিল আর্বতের গল্প। যে মধ্যবিত্তের কথাকার তিনি, তাঁর সূচনা ছিল এই উপন্যাস দিয়ে। বাংলাদেশে জনপ্রিয় সাহিত্যের পথিকৃত তিনি; চার দশক একটানা লিখেছিলেন; আমাদের দেশে পশ্চিমবঙ্গের ঔপন্যাসিকদের আধিপত্য ধূলিসাৎ করেন। সহজ, সরল ভাষায় স্নিগ্ধ ও অনাবিল হাস্যরস এবং জীবনের আপাত উপরিতলের কথা বলে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও তিনি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গভীর সংকেত লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর কাহিনিতে। তাঁর গদ্যরীতিতে যে সাবলীল গতি এবং বর্ণনার পরিবর্তে কথোপকথন ও সংলাপের প্রাধান্য দেখা যায়, তা সব শ্রেণির পাঠকের কাছে সহজবোধ্য। তাঁর প্রায় প্রতিটি উপন্যাসে একই ধরনের চরিত্র আছে যারা খুব জনপ্রিয় তাদের উদ্ভট কিন্তু জীবনঘনিষ্ঠ কর্মকাণ্ডের জন্য; রোমান্টিক খ্যাপাটে আচরণের কারণে। মিসির আলী ও হিমু এদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে এই নামগুলোও কিংবদন্তি হয়ে গেছে। সাহিত্যের পাতায় ও ক্যামেরার ফ্রেমেও। কারণ অধিকাংশ উপন্যাসে এই চরিত্র দুটি ঔপন্যাসিকের গভীর মমত্ববোধ ও ভাবনার কারণে চমৎকারভাবে চিত্রিত।
     এ কারণেই হিমু বললে হুমায়ূন আহমেদকে বোঝানো হয়। এটি এখন পাঠকের কাছে স্পষ্ট। কেবল চরিত্রটির প্রতি লেখক কিংবা পাঠকের ভালোবাসা নয়, কাহিনিতে অনিবার্য সক্রিয়তায় চরিত্রটি স্মরণীয় হয়ে উঠেছে। ২০১২ সালে প্রয়াণের পর গত সাত বছর ধরে বইমেলাতে নতুন হিমুকে খুঁজে ফিরছেন পাঠকরা; বেদনায় সিক্ত হয়ে উঠছে আমাদের মন।

     ২.
     স্পষ্ট করে বললে, হুমায়ূন আহমেদ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন; আর তাঁর সেই কীর্তিমান রূপ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও অক্ষুণ্ন থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। মধ্যবিত্ত জীবনের গল্প লিখে জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি; অথচ মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ও চলচ্চিত্র দিয়েই তাঁর চূড়ান্ত খ্যাতি। এরপর সায়েন্স ফিকশনকে বাস্তবতার সঙ্গে কল্পবিজ্ঞানকে একীভূত করে অসামান্য কিছু লেখা তিনি লিখে গেছেন। পরিণত হয়েছেন মহীরুহে। কী ছিল না এই লেখকের অর্জনে? তিনি বিটিভি নাটকের প্রাণপুরুষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তিনিই আবার বানালেন বিখ্যাত সব চলচ্চিত্র। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলের ভেতর বসতি গেড়েছিলেন, তিনিই পরে আবার ছড়িয়ে পড়েছিলেন সেন্টমার্টিন থেকে নুহাশ পল্লিতে। স্বপ্নচারিতা ও কল্পনার জগৎ নির্মাণে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তাঁর স্বপ্ন ও চিন্তার একটি দিক তাঁর নিজের কথা থেকে তুলে দিতে পারি। ‘রং পেন্সিল’নামক রচনায় বড়দের দ্বারা শিশুদের প্রতারিত হবার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, শিশুদের কাছে একসময় প্রতারণা ধরা পড়ে, তারা তখন বড়দের ক্ষমা করে দেয়। কিন্তু আমরা বড়রাও প্রতারিত হই। প্রতারণা করেন রাজনীতিবিদরা। ইলেকশনের আগে কত সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। বৈতরণী পার হওয়ার পর সব কিছুই ভুলে যান। বিস্মৃতিব্যাধিতে তারা আক্রান্ত হন। এই ব্যাধি পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকে। পাঁচ বছর পরে রোগ সারে। আবার পূর্ণোদ্যমে পুরনো কথা বলতে থাকেন, আমরা আবারও প্রতারিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।” সংসদীয় গণতন্ত্রে ভোটের গুরুত্ব সব দলের রাজনীতিবিদের কাছে সমান। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের বিবেচনা অন্যরকম। তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর শুনতে চেয়েছেন; বোঝাতে চেয়েছেন এসব হতভাগা, মূঢ়, অসহায় মানুষের প্রতি সদয় না হলে গণতন্ত্রের সুবাতাস বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হবে না। জীবতাবস্থায় ঢাকায় শেষবার যখন আসেন তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন যে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবেন। বলেছিলেন ১৬ কোটি মানুষ এক টাকা করে দিলে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বহন করা কোনো বিষয়ই নয়। এগারো বছর আগে তিনি ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ’ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে পাসের হার ছিল শতভাগ; ড্রপ-আউট শূন্য। তিনি কল্পনায় যে সুন্দর স্কুল দেখেছিলেন, এটি সেরকমই একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর ভাষ্য মতে, স্কুল দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন এসেছে; অথচ তাঁর এলাকার নির্বাচিত এমপিদের নিমন্ত্রণ করেও পাওয়া যায় নি একসময়।

     ৩.
     বাংলা সাহিত্যে ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্রের পরে জনপ্রিয়তায় হুমায়ূন আহমেদের নাম উচ্চারিত হবে দীর্ঘদিন। কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নন; তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের লেখকদের আইকন। গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি টিভি ও চলচ্চিত্রে নিরন্তর তাঁর কাজের সংযুক্তি একজন পরিশ্রমী ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি প্রতিভার ওপর নির্ভরশীল না থেকে নিজেই তৈরি করে নিয়েছিলেন নিজস্ব এক ঘরানা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা তাঁর ‘দেয়াল’ উপন্যাসটি অসমাপ্ত থাকলেও আমরা আনন্দিত; আপ্লুত ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে দাঁড়িয়ে। কেন এবং কিভাবে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন পাঠকের? এর উত্তরে বলা যায়, নাগরিক জীবনকে উপন্যাসে মুখ্যত চিত্রিত করেছেন। তাঁর ভাষা ছিল কাহিনির পরিপোষক। হাস্যরস ও রহস্যময়তা তাঁর গল্পের মুখ্য উপাদান। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল অভিনব ও বিশিষ্ট। তাঁর চরিত্রগুলো সহজেই পাঠকের সহানুভূতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। বিশাল ক্যানভাসে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ ছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও ব্যক্তিজীবনের সংশ্লেষে অনবদ্য সব উপন্যাস লিখে গেছেন। ‘সৌরভে’ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবরুদ্ধ রাজধানী ঢাকা নগরীর উত্তপ্ত সময় ও পরিবেশের চিত্র আছে কিন্তু সরাসরি যুদ্ধের বর্ণনা অনুপস্থিত। ‘শ্যামল ছায়া’য় আত্মকথনের রীতিতে কাহিনি গড়ে উঠেছে। হানাদার পাকিস্তানিদের সম্পর্কে লেখকের ব্যক্তিগত আক্রোশও প্রকাশিত হয়েছে। যুদ্ধাক্রান্ত বাংলাদেশের গ্রামীণজীবন, পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা গেরিলার নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া ও যুদ্ধের অভিঘাত, রাজাকারদের কথা ও মুক্তিবাহিনীর প্রতি সাধারণ জনতার মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে এর কাহিনিতে।
  ‘১৯৭১’ নির্মিত হয়েছে গ্রামীণ নিম্নবর্গের জীবনযুদ্ধের অভিঘাতের কথামালা দিয়ে। মুক্তিসেনাদের ওপর হানাদারবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনা আছে এখানে। ‘আগুনের পরশমণি’তে বর্ণিত হয়েছে ঢাকা মহানগরীর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা তৎপরতা ও পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে গেরিলাদের মুখোমুখি সংঘর্ষের বিচ্ছিন্ন খণ্ডচিত্র। তাঁর উপন্যাসকে কোনো কোনো সমালোচক ‘রক্তাক্ত সময় ও সাহসী মানুষের সমাচার’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের সেই নির্মম রূঢ় বাস্তবতার চিত্র তাঁর উপন্যাসে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। উপন্যাসে বহির্বাস্তবতার চেয়ে চরিত্রগুলোর নিজস্ব মানসভাবনা ও জীবনকথাই গুরুত্ব লাভ করেছে। ‘অনিল বাগচীর একদিন’ স্বল্পায়তন উপন্যাসের ভেতরই লেখক তুলে ধরেছেন হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যদের কর্মতৎপরতা, বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র, বিশ্লেষণ করেছেন বাঙালির চারিত্রিক দুর্বলতা ও ইতিবাচকতা, অনুসন্ধান করেছেন এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশত্যাগ ও মানসিক হীনন্মন্যতার; উন্মোচন করেছেন রাজধানী ঢাকার মুক্তিবাহিনীর গেরিলা তৎপরতাসহ মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন নানা অনুষঙ্গ।
     ফলে, লক্ষ করলে দেখা যাবে, সাহিত্যের জাদুকর হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ ধরা দিয়েছেন বহুমাত্রিকতায়। একদিকে যেমন ‘একা একা’ উপন্যাসে তিনি উদ্ভট চরিত্র নির্মাণ করে হাস্যরসে মাতিয়েছেন পাঠককে, তেমনি অতি সাধারণ বিষয়ও তার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। তাঁর উপন্যাসের গল্পের একটি পরিচিত কৌশল রয়েছে। তিনি ‘নন্দিত নরকে’ যে মধ্যবিত্ত জীবন ও পরিবারের গল্প বুনেছিলেন, ঠিক একইরকম কাজ করেছেন ‘জয়জয়ন্তী’সহ আরও অনেক উপন্যাসে। হিমু ও মিসির আলী তাঁর অনেক উপন্যাসের প্লটে নতুন নতুন আদলে আত্মপ্রকাশ করেছে। সামাজিক উপন্যাসের আসর থেকে রহস্য উপন্যাসের আঙিনায় তাঁর চলাচলের এটি ছিল সৃজনশীলতার পথরেখা। তবে তাঁর উপন্যাসের একটি দুর্বল দিক হলো অতিকথন বা অতি কথোপকথন। কথার প্রাবল্য অসঙ্গতি তৈরি করেছে অনেক উপন্যাসে। তাঁর ‘কবি’ উপন্যাস সেদিক থেকে শিল্পমানে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে যদিও উপন্যাসটিতে ধনী, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জীবন উঠে এসেছে, তবু প্রথমদিকে তাঁর ‘নন্দিত নরকে’ ও ‘শঙ্খনীল কারাগার’ পাঠক ধরতে সক্ষম হয়েছিল; যার ধারাবাহিকতা মৃত্যুর পরেও অব্যাহত রয়েছে। তিনি অনেক অদ্ভূত, আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব জীবনের গল্প বলেছেন। তিনি বিচিত্র চরিত্র সৃজন করেছেন। তাঁর সৃষ্ট শুভ্র পতিতার সন্তান কিন্তু তার মধ্যে তিনি মহান আত্মার প্রতিধ্বনি শুনেছেন। ঔপন্যাসিক হিসেবে তিনি একইসঙ্গে নগর এবং গ্রামীণ জীবন পর্যবেক্ষণে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জীবনকে কাহিনি-বৃত্তে তুলে ধরার জন্য সাম্প্রতিক অনেক বিষয়ই ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ ও পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত হয়েছে। এসবই পাঠকের কাছে তিনি উপস্থাপন করেছেন এমন শিল্প প্রকরণে যা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

     ৪.
     বিগত ও বর্তমান শতাব্দীর সবচেয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ অফুরন্ত প্রাণের অবারিত উচ্ছ্বাসে লিখেছিলেন বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের আপাত সরস কিন্তু মর্মস্পর্শী গল্প। তিনি জনপ্রিয় হয়েছেন বহুমাত্রিক ধারায়। উপন্যাস, গল্প, টিভি নাটক থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ তাঁকে মানুষের অনেক কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তাঁর সংগীতপ্রীতি কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পিতার সন্তান হুমায়ূন আহমেদের সমগ্র জীবনেই অভিব্যক্ত হয়েছে অনেক কিছু। তিনি আপাতমস্তক একজন আশাবাদী লেখক ছিলেন। মানুষের ইতিবাচক দিকগুলোকে তিনি তুলে ধরেছেন নির্বিকারভাবে। বাঙালির আবেগের জায়গাটি ঠিক ঠিকভাবে উন্মোচন করে গল্প বলার কৌশল তিনি ভালই জানতেন। এজন্য লৌকিক থেকে অলৌকিকে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল ছিল তাঁর। অধিবাস্তবতা থেকে জাদুবাস্তবতা সবই তাঁর কথাসাহিত্যের ঘটনাধারায় মিশে গেছে। নিজের বিশ্বে তিনি প্রকৃত অর্থেই মুঘোল সম্রাট হুমায়ূনের মতো অদ্বিতীয় ছিলেন। সমাজ ও জীবনকে মথিত করে অসাধারণ সৃজন দক্ষতার নিদর্শন হিসেবে তাঁর সাহিত্যকর্ম আগামী প্রজন্মের জন্য অমৃত স্বরূপ থেকে যাবে। পৃথিবীর মায়া ছেড়ে তিনি চলে গেলেও জন্মদিনটি বারবার ফিরে এসে তাঁর সৃষ্টিকর্মের কাছে আমাদের নিয়ে যায়। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের উপন্যাসের রাজপুত্রকে শ্রদ্ধা।

ড. মিল্টন বিশ্বাস। বাংলাদেশ

(লেখক: ড. মিল্টন বিশ্বাস, বিশিষ্ট লেখক, কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, email-drmiltonbiswas1971@gmail.com)