অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪
অভিরাজ চক্রবর্ত্তী’র কবিতা

কৃষ্ণালোক
ভীষণ অন্ধকার
গুহা মুখে হিংস্র জানোয়ার
ওৎ পেতে আছে বহু যুগ ধরে
লালারসে ভিজে গেছে পাললিক
প্রাচীন অস্থি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চারদিক
সন্ধানী চোখে খুঁজে নিই শকুনির পাশা

দু'বেলা ওদের দু'মুঠো মাংসের গন্ধ ছড়াই
পঞ্চ 'ম'-য়ে বশীভূত করে
প্রবেশ করি গুহা গহীনে

কিছুদূর এগোলেই
কালো বিষাক্ত সাপের দল
ধেয়ে আসে; ফণা তোলে
কোমরে গোঁজা থাকে সঞ্জীবনী শিকড়
গন্ধ শোঁকাতেই ফণা নামিয়ে ফিরে যায় কোটরে

অন্ধকার আরো গাঢ় হলে
নিজেকে পুড়িয়ে মশাল জ্বালাই

দূর থেকে ভেসে আসে
স্রোতস্বিনীর কুলুকুলু রব
ছোট্ট আলোক কণা ক্রমশ নিকটে আসে

শেষ রাত্রির বিভায় উড়ে যায়
এক ঝাঁক সোনালী-সবুজ পাখি
শ্রান্ত, ক্লান্ত চোখে বিমুগ্ধ চেয়ে থাকি

ঋণ
দেখেও দেখনি সবুজের কান্না
বুঝেও বোঝনি পাখিদের ভাষা
আগামী বসন্তে কী চাও বলো ?

ফুটেও ফোটেনি গোলাপ
হেসেও হাসেনি হাসনুহানা
আগামী বসন্তে কি দেবে বলো
প্রেমিকার হাতে ?

মৃত্যুনীল অন্ধকারে ডুবতে ডুবতে
ডুবে গেছ আকণ্ঠ ঋণে
আস্ত একটা মরুভূমি দিও
তোমার শিশুর জন্মদিনে

অভিরাজ চক্রবর্ত্তী
মাহেশ, শ্রীরামপুর, হুগলী।