অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
অশোক অধিকারী-র দু’টি কবিতা

ঠাকুরঘর
পায়ের চিহ্ন ধরে সোজা উঠে গেলেই তার ঘর
পরিপাটী আসনের ওপর সোজা মেরুদণ্ড
ফিকে আলোর মস্তি গোটা শরীর জুড়ে
ঈশ্বরের নামে একবার মানুষকে ডাকেন
আর একবার কোয়ারান্টিনের বিষন্নতা 
থেকে মুখ তুলে তিনি পরিযায়ী হতে চান
পুরোহিতের মন্ত্র যাপন তার অভুক্ত শিখন
ঠাকুরের চোখে জল এলে ডাগর সন্তান
তার হাজিরা খাতা থেকে ডিলিট হয়ে যায়
ঠাকুরঘরে যতগুলো পায়ের ছাপ তারা বৃহন্নলা

সিঁদুরখেলা
শাড়ির আঁচল ধরে কেঁদে চলেছে দুর্গা বাউরি
থান কাপড় গায়ে জড়িয়ে তার ছেলে গণেশ
বাউরি ঢাঁক বাজাতে বাজাতে মূর্ছা গেছে
তার পরিযায়ী বাপ ছুঁয়েছে মরা শরীর
উৎসবের ভাইরাস নিয়ে তার হাঁফ এসেছে
সিঁদুর গোলার মতো রক্ত ভুখা পেটের দোসর
খেলা তো জীবন নিয়ে সেখানে সিঁথির শিরা 
বেয়ে যে শীতের স্রোত তাতে তারা বিজয়া
দেবেনা একান্নবর্তী কাঠামো বৃদ্ধ জাদুঘরে

অশোক অধিকারী
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত