অটোয়া, রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
কালের বিচারে মহাত্মা গান্ধী- ডঃ সুবীর মণ্ডল

জকের দিনে দুঃখের অন্ত নেই, কত পীড়ন, কত দৈন্য, কত রোগ -শোক -তাপ আমরা নিত্য ভোগ করছি, দুঃখ জমে উঠেছে রাশি রাশি। তবু সব দুঃখকে ছাড়িয়ে গেছে এক আনন্দ। যে মাটিতে আমরা বেঁচে আছি, সঞ্চরণ করছি, সেই মাটিতেই একজন মহাপুরুষ, যাঁর তুলনা নেই, তিনি ভারতবর্ষে জন্মেছিলেন। মহান কবি--দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ একদিন এভাবেই মহাত্মাকে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছিলেন। সেই ঐতিহ্যের পথ ধরেই গান্ধীজির ১৫২তম জন্ম দিবসে আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। একদিকে অহিংসা-ব্রত ও সত্যগ্রহ এবং অন্যদিকে উদ্দীপিত তেজ ও অপার  মানবিক সাহস শুধু তাঁর ব্যক্তিজীবনকে প্রভাবিত করেনি, তিনি তার সমগ্র ভারতীয় উপ-মহাদেশে সঞ্চারিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কোন জাগতিক বাধার সামনে তিনি নতজানু হননি। সাময়িক উত্তেজনা কিংবা তাৎক্ষণিক লাভের জন্য ব্যক্তিস্বার্থলিপ্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। সমস্ত রকম বিকৃতি ও আপসের ঊর্ধ্বে অপ্রমত্ত ছিলেন। রাষ্ট্রবিষয়ে  তিনি যে অহিংসা-নীতি প্রচার করেছেন আজীবন, যে নীতিকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের প্রাণ দিতে উদ্যত ছিলেন, সাম্প্রদায়িকতার কুৎসিত পরিমণ্ডলে তাঁকেই মনুষ্যত্বের অন্তহীন অবমাননার শিকার হতে হলো। তাই গান্ধীজির  জন্ম দিবস আজও ভারতীয় জনগণের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ধরনের মহান- মানুষদের জীবনদর্শন ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে নানান দৃষ্টি কোণ থেকে বিশ্লেষণের অবকাশ থাকে।

(১)যে সময়ে মহাত্মা গান্ধীর আবির্ভাব সেই সময়ে আমাদের দেশ ছিল সাম্রাজ্যবাদ -বিরোধী সংগ্রামের স্তরে। এটি মনে না রাখলে গান্ধীজির ভূমিকা সম্পর্কে অবিচার হবে। শ্রেণীহীন সমাজ গড়ার দৃষ্টি থেকে গান্ধীজির ভূমিকা বিচার করা হবে অনৈতিহাসিক। এর ফলে অপরিণামদর্শী, হঠকারি সিদ্ধান্তের উদ্ভব হতে পারে। আবার একথাও ভুললে চলবে না যে যখন গান্ধীবাদের বিকাশ ঘটছে, ঠিক সেই সময়েই আমাদের দেশে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের অভ্যন্তরে শ্রেণীসংগ্রামের ধারাটি আস্তে আস্তে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে আরম্ভ করেছে। গান্ধীজি এই শ্রেণীসংগ্রামের ধারাটিকে সচেতনভাবে নিয়ন্ত্রিত করতে চেষ্টা করেছেন নিজস্ব কায়দায় ও শৈলীতে।

(২) গান্ধীজির ভূমিকা বিশ্লেষণের সময়ে আমাদের মনে রাখতে হবে--জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের মধ্যে দুটি ধারা গড়ে উঠেছিলো--একটি জাতীয় সংস্কারবাদী ধারা ও অপরটি জাতীয় বিপ্লববাদী ধারা। গান্ধীজি নিঃসন্দেহে ছিলেন প্রথমোক্ত ধারার প্রতিনিধি।

(৩) স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতেই পারে--সংস্কারবাদ আঁকড়ে থাকা সত্ত্বেও, শ্রেণীসংগ্রামের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও, গান্ধিবাদ দেশের মধ্যে এত প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হলো কীভাবে। তাঁর কারণ আমাদের দেশে তখন চলছিল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। গান্ধীজি ছিলেন এই সংগ্রামের আপোসহীন এক নির্ভীক নেতা। বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদী ধারার ইতিবাচক দিক--গান্ধীজির পরিচালিত আন্দোলনগুলিকে বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধ করেছিল। গান্ধীজির নেতৃত্বে জাতীয় আন্দোলনের ভিত্তি রীতিমত প্রসার লাভ করলো। শুধুই শহরের নিম্নবধ্যবিত্তের ব্যাপক অংশ নয়, শ্রমিক-কৃষককেও তিনি জাতীয় আন্দোলনের টেনে আনার চেষ্টা করলেন। গান্ধীজির নেতৃত্বে পরিচালিত অসহযোগ আন্দোলন নিম্মমধ্যবিত্ত, কৃষক ও শ্রমিক দলে দলে যোগ দেওয়ার ফলে  আন্দোলনের রূপলাভ করলো অসহযোগ আন্দোলনে। ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায় এই ধরনের জাতীয় জাগরণ ভারতের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ছিল সেই সময়ে। এতে  সমস্ত শ্রেণীর  মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। যখন গণ-জাগরণ অহিংসা সত্যগ্রহের গণ্ডি অতিক্রম করল, শ্রমিক ও কৃষকেরা নতুন জঙ্গী সংগ্রাম সংগঠিত করতে শুরু করলো, (চৌরি-চৌরা’র ঘটনা) অসহযোগ আন্দোলন যখন গত অভ্যুত্থানের রূপ গ্রহণ করতে থাকলো,তখন--জনতা হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে-- এই অজুহাতে গান্ধীজি আন্দোলন বন্ধ করে দিলেন। জাতীয় জাগরণ মাঝপথেই থেমে গেল।

(৪) অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে প্রতিফলিত হলো গান্ধী আন্দোলনের দ্বৈতচরিত্র। ব্যাপক সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি-- এই আন্দোলনের ইতিবাচক দিক। চৌরি-চৌরা সূচিত করলো এর নেতিবাচক দিক-- সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপোসের দিক। পরবর্তীকালের ইতিহাসের আলোকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়----অসহযোগ: চৌরি-চৌরা--- একটি আকস্মিক ব্যাপার নয়, গান্ধীজি পরিচালিত আন্দোলনের একই ধরন, এটাই প্যাটার্ন হয়ে উঠেছিল। ১৯৩০ সালে গান্ধীজি ভারতব্যাপী যে আইন-অমান্য আন্দোলনের ডাক দেন তাতেও ঘটল এই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি, নিঃসন্দেহে এতে  সাম্রাজ্য বাদ-বিরোধী আন্দোলনে নতুন অধ্যায় সংযোজন করল। এই আন্দোলন বন্ধ করে দিলেন, কারণ ক্রমশ হিংসাত্মক পথে এগোচ্ছিলো। আন্দোলনের রশি টেনে ধরলেন। গাড়োয়ালী সৈন্যদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামকে অভিনন্দন না জানিয়ে তার তীব্র নিন্দা করলেন। ধীরে ধীরে আইন -অমান্য আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়া হলো। 'ভারতছাড়ো' আন্দোলনের মধ্যেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি লক্ষ করা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ জোর করে ভারতবর্ষের মানুষকে যুদ্ধে  টেনে নামাল এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সমস্ত দায় ও বোঝা এবং ভার ভারতবাসীর ওপর চাপিয়ে দিল। এই চরম অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমস্ত জাতি যেন টগবগ করতে লাগলো। গান্ধীজি এবারেও জাতির বিক্ষোভকে রূপ দিতে এগিয়ে এলেন। গান্ধীজি দেশব্যাপী সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক দিলেন- তার তিনি নাম দিলেন 'অহিংস বিপ্লব'। এই আন্দোলনের মূল আওয়াজ হয়ে উঠল 'করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে'। আন্দোলনের শুরু হওয়ার আগেই গান্ধীজিকে গ্রেফতার করা হলো। বহু কংগ্রেসের বলিষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। কংগ্রেস সংগঠন বে-আইনি ঘোষনা হলো। ফলে গোটা দেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।  ধীরে ধীরে এই গণ অভ্যুত্থান  সশস্ত্র বিদ্রোহের আকার নিলো। গান্ধীজি এই গণ আন্দোলনের দায়িত্ব নিলেন না। কারণ এই আন্দোলনের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছিল হিংসা। এটা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি তিনি। জেল থেকে বেরিয়ে এসে দেখলেন সমগ্র দেশ রীতিমত এক বৈপ্লবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন। ১৯৪২ সালের গণ অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে গণ--উদ্যম অবারিত হয় তা  ক্রমশ সংগঠিত রূপ গ্রহণ করতে থাকে। জঙ্গী মনোভাবের চরম প্রকাশ ঘটলো ঐতিহাসিক নৌবিদ্রোহের(১৯৪৬) মধ্যে দিয়ে। গান্ধীজি এই ধরনের আন্দোলনকে সমর্থন করেন না, বরং বিরোধিতা করতে থাকলেন। এই পটভূমিতে গান্ধীজির আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কংগ্রেস সংগ্রামের পথ পরিত্যাগ করে সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপোসের পথ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আপসের পথকে বেছে নিলেন গান্ধীজির মন্ত্রশিষ্যেরা (ক্যাবিনেট মিশন, মাউন্টব্যাটেন দৌত্য প্রভৃতি এ প্রসঙ্গে স্মরনীয়)।

(৫)'ভারতছাড়ো' আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যেমন বুর্জোয়া শ্রেণীর সংগ্রামী চরিত্র পরিস্ফুট হয়েছিল, তেমনি যুদ্ধ-পরবর্তীকালের ঘটনার মধ্যে দিয়ে আপোসমুখী চরিত্রটি স্পষ্টভাবে উদঘাটিত হলো। বুর্জোয়া শ্রেণীর দ্বৈতচরিত্রটি নতুন অবস্হায় নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করলো। বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির চৌহদ্দির মধ্যে থেকেও গান্ধীবাদ যে তৎকালীন সময়ে একটি শক্তিশালী মতবাদ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল----এ বিষয়ে কোন সন্দেহই নেই। গান্ধীবাদের জনপ্রিয়তার প্রধান  উৎস----তার গণ-ভিত্তি। গান্ধীবাদ শ্রেণী সংগ্রামের বিরোধিতা করেছে, তবে নিজস্ব কায়দায় গণ--সংগ্রাম সংগঠিত করেছে। সত্যাগ্রহ আন্দোলন দেশের আপামর জনসাধারণকে সাম্রাজ্যবাদ--বিরোধি চেতনায় সঞ্জীবিত করেছে।। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই সত্যাগ্রহ সংগ্রাম অভূতপূর্ব গণ- উদ্যম উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এটি এমন এক ঘটনা যা আমাদের জাতীয় আন্দোলনে এর আগে ঘটেনি।

(৬)সর্বোদয় আন্দোলন, অস্পৃশ্যতা বর্জন, হরিজন উন্নয়ন আন্দোলন প্রভৃতির মধ্যে দিয়ে গান্ধীবাদ মধ্যযুগীয় অবিচারের  বিরুদ্ধে নিজের কায়দায় জনসাধারণকে সজাগ করে তুলেছিল এবং এই ধরনের মধ্যযুগীয় ব্যবস্হার বিরুদ্ধে স়ংস্কারবাদী আন্দোলনের মাধ্যমেই জন-চেতনা জাগ্রত করেছিল। এককথায় গান্ধীবাদী গনতান্ত্রিক বিপ্লবের দুটি প্রধান কাজ (১)সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধিতা ও( ২)দেশীয় সামন্ততন্ত্রের বিরোধিতা--এই দুটিকেই চিহ্নিত করেছিল এবং বুর্জোয়া সংস্কাবাদী কায়দায় তার সম্পন্ন করার জন্য গণ-উদ্যম বেশ কিছুটা অবারিত করে দিয়েছিল।গণ-ভিত্তি গান্ধীবাদের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক। এই গণ-ভিত্তি গান্ধীবাদকে স্বকীয় গৌরবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই কারণেই গান্ধীবাদ বেশ-কিছুটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছিল।এশিয়ার আন্যান্য দেশের জাতীয় আন্দোলনের ওপর প্রভাব ফেলেছিল। আমেরিকার মার্টিন লুথার কিংয়ের আন্দোলনের ওপর তার প্রভাব উপেক্ষার বস্তু নয়।

(৭) আর একটি কথাও মনে রাখা প্রয়োজন, বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদের চৌহদ্দির মধ্যে গান্ধীবাদ এক ধরণের আদর্শবাদও। গান্ধীজির নিজের চরিত্রে এবং মন্ত্রশিষ্য আশ্রমবাসী অনেকের চরিত্রে এই আদর্শবাদী বিশেষভাবে প্রতিফলিত। আসলে তিনি ছিলেন একজন সর্বত্যাগী রাজনৈতিক সন্ন্যাসী।

শেষকথা: সেই কারণে আদর্শবাদী মহাত্মা গান্ধী জীবনের সায়াহ্নে উপস্থিত হয়ে দেশবিভাগের পরিণতি দেখে আন্তরিকভাবে বেদনা বোধ করেছিলেন। দেশবিভাগের ঘটনা তাঁর হৃদয় বিদীর্ণ করে দিয়েছিল। তাই ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ---যখন সারা দেশে বিজয় উৎসব পালিত হচ্ছিল, তখন তিনি এই উৎসবে যোগদান থেকে বিরত ছিলেন। বিশেষ করে, ১৯৪৭ সালের ক্ষমতা হস্তান্তরের পরে কংগ্রেসীদের ক্ষমতার কাড়াকাড়ি পদলিপ্সা, অর্থ-লোলুপতা প্রভৃতি লক্ষ করে তিনি বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। নিজেকে অপরাধী মনে করতেন। এই ত্রুটি থেকে মুক্তির পথ তাঁর জানা ছিল না। তাই জীবনের সায়াহ্নে উপস্থিত হয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন অনেকটা নিঃসঙ্গ--প্রকৃতপক্ষে এক ট্র্যাজিক চরিত্র। তবে ইতিহাসগতভাবে বিচার -বিশ্লেষণ করলে এই পরিণতির দায়িত্ব তাঁর নিজেরই। তা সত্ত্বেও তিনি জাতীর পিতা। তাঁকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় কোন দিন। গান্ধীবাদী বুদ্ধিজীবী প্রিয়রঞ্জন গান্ধী-দর্শনকে খুঁজেছেন গান্ধীজির কর্মে ও জীবনধারায়। তাঁর জীবন দর্শন আসলে জীবনের প্রতিদিনের সত্যের ওপরে ভিত্তি করেই রচিত, তাঁর নিজের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ও সত্যনিষ্ঠা তাঁকে পরিচালিত করেছে, শুধু বইপড়া জ্ঞানও নয়। 'আমার জীবন-ই আমার বাণী',---এ  কথা বড় সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে তাঁর সুদীর্ঘ জীবনে। তাঁর সঞ্জীবনী ও অমৃতময় বাণীর মধ্যে রয়েছে তাঁর চিন্তা-ভাবনা। তিনি অবশ্যই ছিলেন দার্শনিক, কিন্তু কেতাবী আর্থে নয়। আজকের মোহময় দু্ঃসময়ে খুব বেশি করে প্রয়োজন  তাঁকে। তাঁর জীবনদর্শন হোক  আমাদের ‌আগামীর পথ চলার পাথেয়।

তথ্যসূত্র-- গান্ধী সংখ্যা, পশ্চিমবঙ্গ,১৯৯৫, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। 


ডঃ সুবীর মণ্ডল
বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত 
(ডঃ সুবীর মণ্ডল, লোকগবেষক, প্রাবন্ধিক, রম্যরচনা, অণু ও ছোটগল্প  এবং ভ্রমণ কাহিনীর লেখক।)