অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান - সুনির্মল বসু

দিগন্ত ব্যাপ্ত সবুজ জমি দেখেছে, 
পদ্মার উতরোল ঢেউ জেনে গিয়েছিল,
 লক্ষ তারার মিছিল, ঢাকার রাজপথ, রমনা রেসকোর্স, গোপালগঞ্জ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম,
আকাশের শান্ত চাঁদ, তরুণ রৌদ্র ও উদাস দুপুর সাক্ষী, অমর শহীদদের স্মৃতি সাক্ষী,
এ আকাশ জানে, এ সবুজ জানে, শহীদ বেদী জানে,
একজন মানুষ কী করে লক্ষ কোটি মানুষের স্বপ্ন ধরে রাখেন, সবুজ দেশের মানচিত্রের উপর একজন স্বপ্নময় স্বাধীনতার যাদুকর হেঁটে যান,

উত্তাল নদীতে সাম্পান ভাসে, সবুজ জমিতে চাষীর স্বপ্নধরা থাকে, 
আল পথে যেতে যেতে পদ্ম শালুকের বন পেরিয়ে, ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে মানুষ,
যারা মানুষের স্বপ্ন ভেঙে দেন, তিনি দেওয়ালে পিঠ রেখে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন,
এদেশের মাটি তাঁর কাছে প্রাণের চেয়েও খাঁটি,
কয়েদখানা, ফাঁসির দড়ি তাঁকে ভয় দেখাতে পারেনা, 
তিনি শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালী,

আমি ভারতীয়, অথচ, আমারও নেতা তিনি,
তাঁর চোখ দিয়েই আমি বাংলাদেশকে চিনি,
আমার যৌবন কাল তাঁর বজ্রকন্ঠ ভাষণে কেঁপে উঠেছিল একদিন, সে বড় স্বপ্নের দিন, আমারও শিকড় বাকড় রেখে এসেছি ওদেশে, বাংলাদেশ আমার পিতৃভূমি, আমার মাও বেড়ে উঠেছেন এই দেশে,

তিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষ ছাড়া কে আর এমন স্বপ্নের নকশীকাঁথা বুনতে পারেন,
তাঁকে যারা রক্তাক্ত করেছেন, তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে,
মানুষ থাকে না, আদর্শ থেকে যায়, অনির্বাণ প্রদীপ শিখার মত আদর্শ জেগে থাকে,

বাংলাদেশের জলে-স্থলে অন্তরীক্ষে, সুদূর আকাশে
ধ্রুবতারা হয়ে তিনি চেয়ে আছেন প্রিয় জন্মভূমির দিকে, আকাশে বাতাসে মুজিবের কণ্ঠস্বর বাজে,
এই পূণ্যভূমিতে তাঁর জন্ম, এই মাটিতেই তাঁর শয্যা,
এদেশের কিশোর তরুণদের মধ্যে তিনি লক্ষ কোটি মুজিবর হয়ে বেঁচে রয়েছেন।

ধানক্ষেতে, পদ্মার ঢেউয়ে, আলপথে জলপথে সর্বত্র ধ্বনিত হচ্ছে তাঁর বজ্রকন্ঠ, দাবায়ে রাখতে পারবা না, এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ,

তিনি সেই বাঙালী, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালী,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

সুনির্মল বসু 
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত