অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
জয় পরাজয় - যুথিকা বড়ুয়া

দি আসবেই ফিরে স্বর্গোদ্যানে,
তবে সুকোমল যৌবনে কেন ছিলে সরে বহুদূরে?
লুকায়ে তব অনাবিল চন্দ্র বদনখানি!
হইয়া নিথর রইলে দাঁড়ায়ে, অতন্দ্র মায়াবী রাতে;
যেন মরীচিকার ছল!
পলকে স্তম্ভিত হই, মরি দ্বন্দ্বে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভীষিকায়।
করি মিনতি, রাখিও না আর চাপি রুদ্ধঃশ্বাসে
হৃদয়ের সকল কথা। 
ক্ষুদ্ধ কেন? ভুলি নাই, রহিয়াছে স্মরণে আজও!
সাগর সম্মুখে হেরিলে যবে পিয়াসিনীর হাহাকার;
তবু হৃদয়পদ্মের শেষ কুঁড়িটিও পারোনি ফোটাতে
শুধু আত্মসুখের অণ্বেষণে নিলে সব কেড়ে নিঃশ্ব করে
বদ্ধ অঙ্গীকারে! 
স্পর্শকাতর আমি, নারী অবলা
বুঝিনি বাকচাতুর্য্যরে  ছলা-কলা।
গহীন আবেগে দিয়েছি ঢেলে সুপ্ত বাসনায়,
স্বহৃদয়ে তন মন মোর সবই উজার করে।
ভাসি পিরীতির স্রোতে, সেই তরুছায়া তলে;
রাশি রাশি উল্লাসে উচ্ছাসে বুনি স্বপনের জাল,
করেছিলে যারে কোনো এক শুভক্ষণে,
ভালোবাসার কাঙ্গাল।
হায়রে অদৃষ্ট, পরিহাস ভাগ্য বিধাতার 
অকাল ঘূর্ণিঝড়ে নিষ্ঠুর আঘাত হেনে, অশ্রুপ্লাবিত
হৃদয় ভেঙ্গে চৌচির, হ’ল স্বপ্নীল নীড় লন্ড ভন্ড।

আজ বর্ষপরে পূর্ণ জাগরণে এলে পুর্নবার,
যাহা ছিল তব হেয়ালি মনের অহংকার।
কাতর বেহায়া মন মোর, নাহি বোঝে পিরীতির নিয়ম
ঢলে সংকটে হেরি তব অনাবিল অনিন্দ্যরূপ,
শিহরণে লাগে দোলা, ভালোলাগার আবেশে করি রচনা
এক অনবদ্য প্রেমের পান্ডুলিপি।

আজ বসন্তের সুগন্ধ্যে গোধূলীর স্বর্ণরাগে, 
মোর চিত্ত আকাশে, গভীর মগনে নব স্বপনে 
রাখিয়াছি বিছায়ে, আকুল পিয়াসে
মোর তৃষিত নয়ন দু’টির প্রেম আহ্বান।

শুনেছ কি প্রতিধ্বনি মিলন বাঁশির!
দিও না শরমের দোহাই, স্বহৃদয়ে উন্মত্তে অভিলাষে
এসো সুরভীত পুস্পের আমোদিত সুবপনে, 
উজ্জ্বল চন্দ্রকিরণে মোর সন্নিকটে মধুর মিলনে
করো হে ধন্য, পরায়ে বরণ মালা 
বাঁধিয়া প্রাণের ডোরে, মজিয়া প্রেমরসে
ইহাই হইবে মোর পরম উপহার।

যুথিকা বড়ুয়া: টরন্টো প্রবাসী গল্পকার, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী।