অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
অথর্ব অস্তিত্বের মালিক - লুৎফুন নাহার

চোখের সামনে থেকে 
কেমন যেন মুছে যাচ্ছে সমস্ত মানুষ ধীরে-ধীরে।

দূরে সরে যাচ্ছে সব ক’টা চেনা চেনা মুখ! 
কারো মুখই মনে রাখতে পারছি না ঠিকঠাক, 
কেমন যেন... এক ঘোর লাগা কালো-কাল
কৈলাসের মত বুকে চেপে আছে কংক্রিট ভার! 

যেন কোন আশ্রয় নেই, আশ্রম নেই, আভাসও নেই কোথাও
নিথর পাথার, একটাও মানুষ নেই! শূন্য বিরান
তৃষ্ণায় ছটফট করা প্রাণ আমার-
পরিত্রাণ চাইছে বিনয়ে এবার। 

প্রজ্ঞা হারা অজ্ঞ আমি, আলো হারা অন্ধ, আঁধার।

অন্তিমে অশ্রু ফেলে, অস্ত্র ভুলে যাওয়া এক সৈনিক
আমি পরাজিত, যোদ্ধাহত এক অথর্ব অস্তিত্বের মালিক। 

ভেবো না, জিতে গেছ তোমরা মনুষত্ব্য বিকিয়ে! 
ফুলিয়ে নিয়েছ নিজ নিজ ফুসফুস ইলিগ্যাল বাতাসে
কেটে ছেঁটে সমস্ত বনানী, তোমাদের অট্রালিকার অলিক সুখ
বায়ুমণ্ডলীয় সিস্টেমকে বড় পিড়া দেয় বলেই 
তোমরা পিড়িত প্রায় সময়ই। 

অথচ, কথা ছিল তোমাদের মনে বাজবে পিরিতের সানাই
বনে গাইবে পাখিরা, হাওয়ায় ভাসবে কলতান-সুর
হতাশা ডিঙিয়ে, মেঘ ভেঙে নেমে আসবে আদুরে বৃষ্টি; মাতাল 
হয়ে ভিজিয়ে দিতে দৈন্যতার দেয়াল কিংবা কোন কুঁড়েঘরের চাল। 

লুৎফুন নাহার। ইংল্যান্ড