অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শীতল চট্টোপাধ্যায় এর দু’টি কবিতা

খুঁজি
তোর জন্য বৃন্তে পলাশ, পলাশে আশপাশ
মাটির ওপর পাপড়ি আমার , আমার পলাশ লাশ৷
তোর ঠোঁটেতে শিমুল ছোঁয়া কৃষ্ণচুড়ায় শাড়ি
ওদের ঝরা পাতায় ভরায় আমার উঠোন-বাড়ি৷
কোকিল যখন কৃষ্ণ বাঁশি হয় সে ডালে-ডালে
জানেনা সে কার মনে যে কিসের আগুন জ্বালে৷
উড়ছে আবির বুনছে উড়ে শাড়ির আঁচল তোর
বসন্ত তোর কাব্য লেখে পলাশে অক্ষর৷
দখিন হাওয়ার একতারাকে বাজতে দেখি শুধু
মুঠোয় আবির নিয়ে ছুটি ছোঁয়ার কপাল ধু ধু৷
শুকনো পাতার রুগনো দেহ মন নদীতে ভাসে
তবুও ফাগুন প্রাণ বাঁচাতে শ্বাস বায়ুতে আসে৷
রঙিন বেলায় রঙের খেলায় রঙ মাখানোয় হাত
তোকে ছোঁয়ার রঙিন বৃষ্টি আজকে উল্কা পাত৷
এই ফাগুনের ভাষায় খুঁজি সেই ফাগুনের স্বর
চুরি করেও বাঁধতে খুঁজি কাকের বাসায় ঘর৷

উদাসলোকে
লাশ-শিমুল পাইনা খুঁজে
পাইনা কৃষ্ণচুড়া,
পাইনা কোথায় তোকে নিয়ে
কোকিল ডানার উড়া৷
চোখের ওপর চোখ এঁকে দেয়
বসন্ত রঙ তুলি,
সে চোখ শুধুই তোকে দেখার
ঘরের চোখকে ভুলি৷
মনের ভেতর মন গড়ে দেয়
কোকিল কারিগর,
বলে আমার বুকে নাকী
বাঁধবি যে তুই ঘর!
বসন্ত সে জানে তখন
তুই কিশোরী রাই,
জানে কিশোর সঙ্গী যে তোর
স্বপ্নতে সবটাই৷
বসন্ত সে এমনই হয়
রাঙায় কিশোর বেলা,
কৈশোর মন, মন হারানোর
ডানাতে হয় মেলা৷
বসন্ত সে নিজেও নাকী
রাইকে দেখে চোখে,
মনকে জাগায় মন বওয়ানোর
রঙিন উদাসলোকে৷    

শীতল চট্টোপাধ্যায়
উত্তর ২৪ পরগণা পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ