অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪
জিল্লুর রহমান প্রামানিক এর দু’টি কবিতা

চলে গেছে
লে গেছে হাতের মুঠোয় হাত
হৃদয় থেকে মূল্যবান আলো 
এখন বুকে অবাঞ্ছিত ধুলো
মেলে দিল বিশাল ডানাগুলো। 

চলে গেছে চোখের তারায় চোখ 
যার পেছনে ছিল পারদ মাখা 
এখন কেবল নীরবতার কাচ
ছড়িয়ে দিচ্ছে শাখা ও প্রশাখা। 

চলে গেছে চূর্ণ-অনুভূতি
সকালবেলার ঘরোয়া পোশাক 
চলে গেছে বাড়ি যাওয়ার তাড়া
শরীর-ভরা রহস্যময় বাঁক। 

চলে গেছে সেই গেরুয়া গ্রাম
ঘাসে ঢাকা অশেষ সমতল
চলে গেছে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া 
খরার জমি ভিজিয়ে দেয়া জল।

যখন তোমার মন চন্দনকাঠের মতো পোড়ে
ল তার পিপাসাকে বাঙ্ময় করেছে বলে তুমি
অবনত হয়ে আছ, যেন ফলহীন কলাগাছ।
পূর্ণিমা পেরিয়ে গেলে আকাশে যে চাঁদ এসে থাকে
হয়তো সে ম্রিয়মাণ, তবু তার জীবনের আঁচ

টের তুমি পেতে পারো পণ্ডিতের সভা ছেড়ে যদি
ঘাসের প্রান্তরে হাঁটো, গায়ে মাখো শিশিরের হিম।
সামাজিক সন্ধি বল কাকে কবে মহিমা দিয়েছে?
বরঞ্চ সন্ধ্যার কালে কেড়ে নেয় মাটির পিদিম।

সবকিছু জেনে তুমি বসে আছ চাণক্যসভায়
প্রতিটি শিশুই কিন্তু ঘুমঘোরে ডানা মেলে ওড়ে
এমন সহজ সত্য যুক্তি দিয়ে ছিঁড়ে কী-বা লাভ
যখন তোমার মন চন্দনকাঠের মতো পোড়ে? 

জলেরও পিপাসা আছে, জল তার গন্তব্যকে চায়
বিন্যাস বিধ্বস্ত হলে এই সত্য কুরুক্ষেত্রে যায়।

জিল্লুর রহমান প্রামানিক
গাইবান্ধা, বাংলাদেশ