অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
জাহ্নবী জাইমা’র দু’টি কবিতা

ভুলে যেতে ভুলে যাই
নেক দিন কথা বলোনি, দেখাও হয়নি কোথাও 
অথচ মুহূর্তের মুখে কথা ফিরতে ফিরতে 
বছর গড়ায় বছরে, আর আমরা দুজন 
মরচে মাখা বরাত নিয়ে উজ্জ্বল করতে চাই কপাল। 
দুজনেই জানি মুখ ফেরানাের কষ্ট চেপে 
খোশ মেজাজেই যাচ্ছে, ভুলের ভানে দিনগুলি।

কোথাও কোন টান পড়েনি বাঁচার 
তোমাকে বিহীন তিনশো পয়ষট্টি দিন 
সেকেন্ডের কাঁটায় লুকিয়ে থাকার লুকোচুরি খেলা 
এভাবেই তবুও খুশি, নির্বোধ সংসার। 
মাটিকে আঁকড়ে ধরে শিকড়ের বিস্তীর্ণ বাঁধন 
চোখে পড়ে না হিসেবি মানুষ 
আমাদের প্রত্যেকটি দিনের প্রতিলিপি 
হাতে হাতে গড়ে তোলে অদৃশ্য জীবন 
অশান্ত ভিতর 
অনেক দিন দেখা হয় না কথাও হয় না। 
তবুও ভিতরে ভিতরে তৈরী হয় 
অলক্ষ্য অজেয় সাক্ষাৎ 
স্মৃতির খুব নিকটেই আছি 
বাসস্থান হবে হয়তো কোন এক দ্রাঘিমায়।

নারীর সমস্ত সাইরেন
মস্ত বৃক্ষ চন্দন বৃক্ষ 
সমস্ত নারী নাভিমূল মৃগনাভী 
সমস্ত বীথি জুড়ে জ্যোৎস্না 
গলে গলে পড়ে 
মানুষের মধ্যে ঈশ্বর দাঁড়ায়।

কারখানা সাইরেন ছুঁয়ে থাক সমস্ত দেবতা 
ঘর ছাড়াদের কান্না মুছে শান্তি, ঘরমুখো কথা 
বনভোজনে মেতে উঠুক সমস্ত মানুষ 
ভাতের থালায় একটুকরো নদী মাছ।

সমস্ত বৃক্ষ নারী, মানুষ নাভিমূল বনানী জুড়ে 
সাইরেন কারখানা দেবতাগণ, ঈশ্বর খায় কুঁড়ে।

জাহ্নবী জাইমা। বাংলাদেশ