অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সম্প্রীতি - ঝন্টু চন্দ্র ওঝা

জি এসেছে শুভক্ষণ
বসন্তের আগমনে
অরুণ রাঙা প্রাতে 
দখিন বাতায়নে।

ফাগুন হাওয়ায় বসন্ত রাগে
বন পাপিয়া কণ্ঠ সাধে
রাখালিয়ার বাঁশীর ধ্বনি 
বেজে ওঠে হিয়ার মাঝে।

নতুন পত্রে বৃক্ষরাজি
সবুজ শাড়ি পরে
আঁচল ছেড়ে দুলিছে মৃদু
দখিন সমীরণে।

বৃক্ষ শাখে কোকিল, শ্যামা
আরও অচেনা পাখি
মনের সুখে গান গেয়ে যায়
অবিরাম মেলে আঁখি।

বৃক্ষরাজি দাঁড়িয়ে থাকে
পাশাপাশি মিলেমিশে 
ভেদাভেদ ওরা ভুলে গেছে সবে
পরস্পরকে ভালবেসে।

নেই বিদ্বেষ, নেই কোলাহল
সংঘাত নেই কভু
ঝড় ঝঞ্ঝা তুফান আসে
বাঁধন ছেঁড়ে না তবু।

মানুষের মাঝে ঠুনকো বিবাদে
ভালবাসা ক্ষয়ে যায়
মুছে যায় সব প্রীতির বাঁধন।
ঈর্ষার হয় জয়।

শ্রদ্ধাহারা চলন যেখানে
পায় শীর্ষ স্থান
প্রীতি ও সোহাগের বাঁধন সেখানে
ছিঁড়ে হয় খান খান।

হিংসায় আনে দুঃখ-দৈন্য
কলহে দুর্দশা
মৃত্যু যন্ত্রনা ছাড়া ওতে 
নেইকো -বাঁচার আশা।

তবে কেন বৃথা হিংসা-বিদ্বেষ
তবে কেন রোষানল
প্রেমের শক্ত বাঁধনে সকলে
বাঁধো এ ধরণীতল।

ঝন্টু চন্দ্র ওঝা
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট,
ঢাকা, বাংলাদেশ