সুর বাজে - জিল্লুর রহমান প্রামানিক
পাখির পাখনায় চুলোর ঢাকনায়
ভাতের বলকেও
সুর বাজে।
পাখির কলতান, যে নদী বহমান
আহা, কে না-জানে ও
সকল আজানেও
সুর বাজে।
গাছের পাতাতেও হৃদয় মাতাতেও
গ্রাম্য গাথাতেও
সুর বাজে।
দিনেও রাতেও বজ্রপাতেও
বৃষ্টি সাথেও
সুর বাজে।
গ্রন্থ পাঠেও খেলার মাঠেও
নদীর ঘাটেও
সুর বাজে।
রেলের গাড়িতেও পাহাড়ি বাড়িতেও
বনের খাড়িতেও
সুর বাজে।
নিকট ও দূর নেই গঞ্জ পুর নেই
ঘোড়ার খুর নেই যেখানে সুর নেই--
সুর বাজে।
পাহাড় শিখরেও সাগর শিকড়েও
জানো কি কী করে ও?
সুর বাজে।
কান্না হাসিতেও হাঁচি ও কাশিতেও
বা ভালবাসিতেও
সুর বাজে।
যে মাটি-ঘেঁষে থাকে দেখাই দায় তাকে, কোমল অন্তর
দূ্র্বা যে--
তারও অন্তরে কী এক মন্তরে
জৈব যন্তরে
সুর বাজে।
সুরকে কে তাড়ায়, ঢোল বা দোতারায়, এমন কোথা রায়
দূর! বাজে!
জিল্লুর রহমান প্রামানিক। গাইবান্ধা
-
ছড়া ও কবিতা
-
04-06-2021
-
-