অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
একটি জিজ্ঞাসা - দেওয়ান সেলিম চৌধুরী

কোন এক বৃষ্টি ভেজা সাঁঝে
এক খন্ড কাঠ,দিয়েছিনু তন্দুরীর মাঝে
দেখিনি পোকা এক লুকিয়েছিল কাঠের ভাঁজে।
ধীরে ধীরে সেই পোকা উষ্ণতা অনুভব করে,
ছুটেছিল এদিক ওদিক, বাঁচিবার তরে।
আমি দেখে ব্যাকুল হয়ে বাড়িয়েছি হাত
বলেছিনু উঠে আয়,নইলে মৃত্যু নির্ঘাত।
যা ছিল হাতের কাছে,তাকে বাঁচাবো বলে
চেষ্টা করেছিনু আমি, ত্রানকর্তার ছলে।
বুঝিনি কখন হাতের সবক’টা লোম গিয়েছিল জ্বলে।
তবুও পারিনি বাঁচাতে,পুড়ে গেলো নিরীহ প্রান
ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে দাঁড়িয়েছিনু হয়ে মৃয়মান
এ যেনো মানুষের ক্ষমতার দুর্দান্ত অপমান।
বুঝিনা তুচ্ছ পোকার  লাগি,কেনোইবা হলো এত টান?
হঠাৎ হৃদয় মাঝে প্রশ্ন এলো পর্বত প্রমান,
কিতাবে বহুল বর্ণিত তুমি,তুমি রহমান,
তোমার হুকুমে জ্বলে নরকের শিখা লেলিহান।
মানুষকে জ্বলতে দেখেও কি কাঁদিবেনা তব প্রান ?
এ আগুন কি অনন্ত জ্বলিবে সমানে সমান?
মানুষের পরিণতির এই দ্বায়ভার শুধুই কি তার?
তুমিতো দাওনি শক্তি মানুষেরে স্বাধীন চলার!

দেওয়ান সেলিম চৌধুরী। অটোয়া, কানাডা