অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
অচ্ছুৎ - রূপক চক্রবর্তী

রা দাঁড়িয়ে থাকে পথের প্রান্তে,
আবার কেউ কেউ ক্লাবে বসে ক্যারাম পেটায়,
রোজ দুইবেলা ওদের দেখা যায়
ঐখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসিঠাট্টা,আড্ডা দিতে;
হ্যাঁ আসলে ওদের তো কোনো কামকাজ নেই-
বেকার ছেলেপিলে সব!

নিজেদের বাড়িতেও ওদের বিশেষ স্থান নেই,
কি ভাবে থাকবে?
দু পয়সা রোজগার করেনা,
আর সারা জীবন বাপের অন্ন ধ্বংস করবে!
মজাকি পেয়েছে নাকি?
পাড়া-প্রতিবেশী,আত্মীয়-পরিজনদের চোখের বিষ ওরা;
স্বাভাবিক তো-
সবকটার বয়স হয় প্রায় ৩০
নাহলে ৩০-এর কোটায়,
এখনও একটা চাকরি জোটাতে পারলনা;
ফালতু বেকার যত সব!

ওরা আসলেই পরিবারের উপর
সমাজের উপর
এমনকি রাষ্ট্রশক্তির উপরও
বোঝাস্বরূপ;
কি হবে এদের দিয়ে
কোনো কামকাজ করেনা,
রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গুলতানি মারে:
মুখে আবার নোংরা ভাষা,
কে জানে রাস্তা দিয়ে চলা মেয়েদের দেখেও না জানি কোনো 'বাজে কমেন্ট'ও হয়ত করে!
হ্যাঁ হ্যাঁ ওরা ওসবই করে,
কোনো ভাল কাজ করে না তো ওরা-

আরে ওরা এমন অচ্ছুৎ যে
শুধু ওদের বাবা-মা কেন
স্বয়ং ঈশ্বরও ত্যাগ দিয়েছেন ওদের।

শুনুন বন্ধুগণ,
কানে কানে একটা কথা বলি,
কোনো বুদ্ধিজীবি আঁতেলরা যেন আবার ওদের তরফদারি না করে,
ওদের মানসিক অবস্থা,ওদের অনুভূতি এসব নিয়ে যেন আবার কেউ না লেখে;
ওরা যে শুধুই নিন্দার পাত্র,
এই দেখুন না আমি যেমন ওদের নিন্দা করছি,
আপনারাও নিন্দা করুননা ওদের!
তবে ওদের যা গন্ডারের চামড়া,
তাতে ওসব নিন্দামন্দে ওদের কিস্যুই যায় আসেনা!

রূপক চক্রবর্তী
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ