অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
কুমারী অতীত - সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

তোমাকে জানতাম অনেক দিন ধরে
তুমি নীরবে এসে দাঁড়ালে যখন
বর্তমান হয়ে-- চোখের সামনে।
ভবিষ্যৎ মুষ্টি ভিক্ষায় কাতর
যন্ত্রনাবিদ্ধ বর্তমান পাগলপ্রায় মুহুর্ত
তখন
আমাকে ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইলো
আমার বোকমির দুর্যোগ।

আমি অন্ধ চোখে এক তারায় টান
দিতেই ভেসে উঠলো
তোমার নগ্নতার একাংশ।
সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেন
ভেসে উঠলো চোখের সামনে।
তারপর---
তুমি বিবস্ত্রা হয়ে দেখাতে
চাইলে আরও আরো উদ্দাম প্রেমের
চোখ ধাঁধানো
যৌনতা।
সেই মুহুর্তে
বর্তমান হারিয়ে ফেললো তার
বালুকাতটে আছড়ে পড়া
ঢেউয়ের অছিলায় এক
বিসদৃশ যন্ত্রনার
ইতিবৃত্ত ।

কাতরাতে কাতরাতে
সেও কখন
স্মৃতির উদ্দেশ্যে যাত্রা
করলো----
দেখা মিললো না
হয়তো কোনও দিন
মিলবেও না।

ভবিষ্যতের বিবাহিত জীবন
হঠাৎই ছুঁয়ে ফেললো
একরাশ মৌন ছবির
অন্ধ পচাগলা মেমেন্টো।
নয় তো
জীবন্ত কটাক্ষের
জ্বলন্ত অশ্রুপাত।

সে কুমারী থেকে নাম মুছে
বিবাহিতা হয়েও
শান্তি পেল না আজ অবধি
সে বর্তমানে নেই
ভবিষ্যতে ও নেই।

সে কুমারী অতীত হয়েই
 বিদগ্ধ ক্যানভাসে
 নিবু নিবু উনুনে
পোড়ামাটির ফলকে----.

সবাই ঘৃণায় মুখ ফেরালো
কুমারী অতীত
ধ্বংসের উপর
দাঁড়িয়ে
মুখ ব্যাজার করে
বুকের ল্যাম্প পোষ্টে
মারলো সজোরে
এক লাথি---

বর্তমানে, ভবিষ্যতে
সে যেন আর
বিবাহের
কল্পনা ও
না করে

কুমারী অতীত!
তার চেয়ে
চলো যাই ঐ
মেঘ থেকে
ঝড়ে পড়া
একপশলা
বৃষ্টির ছাঁট হয়ে--

চলো না
যাবে?
চলো
যাই একসাথে----
যাবে?
হে কুমারী অতীত!!!!

সত্যেন্দ্রনাথ পাইন।
১৩ আষাঢ় ১৪২৮!