অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শীতল চট্টোপাধ্যায় এর দু'টি কবিতা

মানুষ থেকে
তদিন হল খোলা পথ হারিয়ে
বর্জ্য পাহাড়ের সুড়ঙ্গ পথ ধরে হাঁটছি৷
তাকালেই, মাথার ওপর বর্জ্য প্লাস্টিক ছাদ,
চোখ থেকে হারিয়ে গেছে আকাশ,
বাতাসের সাথেও বন্ধ হয়েছে কথা৷
মানব দেহ থেকে নিয়ত সচেতন অস্তিত্ব ছুঁড়ে-ছুঁড়ে
বর্জ্যের সাথে নিজেকে সহবাসে
নিবেদিত করেছে, অভ্যস্থ হয়েছে৷
আলো, বাতাস, দিন-রাত্রি, ফুল, পাখির
পড়ে থাকা কঙ্কাল যেখানে৷
মানুষের হাতে গড়া নিজের বর্জ্য প্রাসাদে বসবাসের জন্য
নির্দ্বিধায় নিজেকে মানুষ থেকে করেছে বিষাক্ত কীট,
আপন কৃতিত্বে সরীসৃপ সাফল্য পাওয়ারও
অহংকার, আস্ফালন আছে যাদের কাছে৷

কবিতাকে- কবিতা দিতেই
বিতার জন্য কবিতা লেখা হয়নি একটাও৷
কবিতাকে খুশি করাতে
সৌজন্য শব্দও খরচ করা হয়নি কোনো৷
কবিতার জন্য এক্কেবারে একান্তে
চাওয়া হয়নি কবিতাকে,
নিতান্ত তাকেই শুধু একটুখানি বিনিময় বার্তা দিতে৷
কবিতাকে একবারও বলিনি
'কবিতা, তোমার জন্যই এই আমি'৷
কবিতার কাছে শুধু পাওয়া স্বভাবেই
নিজেকে নিয়োগ করছি,
নিয়োজিত রেখেছি৷
সকাল থেকে রাত্রি
কবিতা বিস্তারের বিস্তীর্ণতাকে
চিনিয়ে চলে কবিতা৷
কবিতার সর্বস্ব উজাড়ের কাছে
শুধু গ্রহণীয়তারই ভূমিকা আমার৷
কবিতার জন্য, কবিতাকে সামান্যও একটা
শব্দ মালিকা পরানো হলনা একবারও৷
আজ অন্তত একবার তাই
নিশ্চিত কবিতাকে -কবিতা দিতেই
লিখছি কবিতা৷

শীতল চট্টোপাধ্যায়
জগদ্দল, উত্তর ২৪ পরগণা
ভারতবর্ষ