অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
অমিত কুমার জানা'র দু'টি কবিতা

বৈপরীত্য
কটা আঁধার দেওয়ালে যে হাঁসির বলিরেখা আঁকতে পারে
সে অথৈ বিষাদ সিন্ধুর বুকেও
খুশির ফোয়ারা দেখতে পায়!
আবার কেউ জোছনা মেখেও 
আতঙ্কিত বুকে অমানিশার স্রোত দ্যাখে।
চাঁদে গ্ৰহণ লাগলে যে মোমের
আলোয় আনন্দ মাখে,
সে নিশ্চিত অভিযোজনের সংজ্ঞা রাখে!
বাদল গর্জনে যার হৃদকম্প হয়
সে বর্ষাধারার স্নিগ্ধতায় ভাসতে পারে না।

অশ্রুসিক্ত অনুভূতি
ই নদীটার বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন,
একটা সূর্য খুঁজি,যার আলো ঐ মায়াবী নদীর 
বুক থেকে প্রতিফলিত হয়ে তার স্নিগ্ধতায় আমার মুখমণ্ডল ঝলমলিয়ে উঠবে।
আমার প্রতীক্ষিত সময় কাটে প্রবাহ হয়ে...
দিগন্তপ্রসারী দৃষ্টি ঘিরে অযাচিত আঁধার নেমে আসে,
আঁখি বেয়ে নেমে আসে প্রশমনের নোনা জল।
সূর্যটা আর ওঠে না,সবাই দেখতে পায়,
কিন্তু কেউই দেখতে পায় না বুকের ভেতর প্রবাহিত বেদনার অন্তর্বাহীকে!
আমিও না!
আমি শুধু অনুভবি শরবিদ্ধ পাখির বুকের যন্ত্রণা।

অমিত কুমার জানা
খড়্গপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত