অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
দিব্যেন্দু সরকার'র কবিতা

তুমি আর আমি
তাব্দীর পর শতাব্দী তোমাকে
ভালোবাসি;
বার-বার জন্ম নিচ্ছি
কখনো অন্ধকার রাতে, লণ্ঠন জ্বেলে
তোমাকে লিখেছি
লতা ঘেরা জানালা দিয়ে- বৃষ্টি, ব্যাঙের ডাক
টেবিলে বইয়ের থাক;
এরপর; নতুন শতাব্দীতে, তোমাকে পেয়েছি
উজ্জ্বল এক আলোকে-
বড়-বড় বাড়ি আর গাড়ির চাকার শব্দে
আমাকে শুনতে পাওনি
এক অভিলাষী পৃথিবী তখন
একদম অন্যরকম
ছুটছে সারি দিয়ে- ব্যস্ত জীবন নিয়ে
আমি তখনও কাজের ফাঁকে
তোমাকে খুঁজেছি
তুমি বদলে যাওনা- তুমি অন্ধকারের
পৃথিবীর আদিম কুম্ভ হতে
যুগে-যুগে-জেগে ওঠো একই ভাবে
আমি এক ভাবে জন্ম নিচ্ছি-
তোমাকে লিখছি-দেখতে পাবে।।

বিকল্প ছিল
কিছু একটা তো নিশ্চই হতে পারতাম
হয় ছবিতে রঙ খেলাতাম
নয়তো মহাকাশের পাতায়
অঙ্ক-গুলো তো আজকেও
সেজে আছে
হয়তো নতুন কোনো দিক খুলে যেত
পৃথিবীর কাছে--
আরও রহস্যের মধ্যে বেঁধে দিতাম
বিজ্ঞান-কে-
সাহিত্যও একটি তৈরী হতে পারতো
এসব কিছুই হতে পারতো-নয়তো
এর মধ্যে একটি তো করতেই পারতাম
এতো কিছুর সম্ভবনা রাখা ছিল
না হলে- হয়তো
হারিয়ে যেতাম কোনো একদিন
সমুদ্র-পৃষ্ঠের গভীর অতলে।।

আসা উচিত
খনো আশা সে আসবে।
ইচ্ছেগুলো কিম্বা সপ্নো বলা যেতে পারে
তুলে রেখেছো। সে আসবে বলে।
আকাশের তারা-দেড় তো ধরে রেখেছে-অসীম অন্ধকারে-
কত আলো বুকের ভেতরে;
সেও আসবে। তাঁর- তো-এমন জায়গাতেই আসা উচিত।
তাঁর কথা জোরে বলা অনুচিত;
সে আসলে অনেকের ক্ষতি
তবু কিছু মানুষ বাঁচবে বলে তাঁকে চাইছো
সপ্নো গুলোকে পেতে চাও সত্যি-
এমন আশা-গুলো যেন- বটবৃক্ষের মাঝে গুল্ম
বেঁচে থাকার লড়াই- ঠিক একটি সপ্নো।।

দিব্যেন্দু সরকার
শিলিগুড়ি,  দার্জিলিং