অটোয়া, বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সাদামাটা – ফরিদ তালুকদার

    ধূসর পাথর আর ইটের দেয়ালের উপর গাঢ় ছাই রঙা ছাঁদ। পোর্ট ইউনিয়নের এই এলাকার বাড়ী গুলো প্রতিটি নিজ সৌন্দর্যে ভাস্বর! উল্টো করে রাখা একটা অতিকায় নীল কাপের মতো আকাশটাকে বুকের উপর নিয়ে অপ্সরী সাজে সকালের এই অন্টারিও লেক। তার পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে বাড়ী গুলো নিজেদের মুখমন্ডলে মেখে নিয়েছে বাড়তি আভিজাত্য। বলতে না চাইলেও স্বীকার করে নিতে হয় পরিবেশের সবটা জুড়ে বহমান রয়েছে এক সৌম্যতার ছাপ।
     চল্লিশের মিনিটের ড্রাইভ। লোকমুখে শোনা এই এলাকাটাকে দেখবে বলে নীলু আর সজল ছুটির এই সকালটায় একটু আগেভাগেই বিছানা ছাড়ে। লেকের পার ঘেঁষে হেঁটে প্রায় ঘন্টা দেড়েক ধরে দুজনে এলাকাটা ঘুরে ফিরে দেখে। কল্প কথা অনেক সময়ই সত্যি হয়। সে হতে পারে পৌরাণিক বা সম সাময়িক।
     ফেরার পথে দু’জনেই কয়েক মিনিট ধরে চুপ। যেনো সদ্য দেখে আসা দৃশ্যগুলোকে আত্মস্থ করার চেষ্টা করছে। একটু পরে নীলুই নীরবতা ভাঙলো-
     আচ্ছা এ ধরনের একটা বাড়ীর দাম কতো হতে পারে?
     সজলের রাডারে পরিস্কার ধরা পড়লো আলোচনার গতিপথ। একটু নির্বিকারভাবে বললো—
     সঠিক জানিনা তবে ধরে নেয়া যায় দুই মিলিয়নের উপরে সব গুলোই। 
     আমরা একটু চেষ্টা করে দেখতে পারিনা?  নীলু বললো
     তা করা যায় কিন্তু তার কি কোন দরকার আছে? 
     দরকার ভাবলেই দরকার আর না ভাবলে তো কিছুই লাগেনা। আর এমন ভাবলেই যে পেতে হবে তাতো নয়। তবে চেষ্টা করে দেখলে তো কোন ক্ষতি নেই?  
     একসাথে অনেকগুলো বছরই তো যাপিত হলো। নীলুর এ ধরণের উত্তরগুলো তাই সজলের কাছে খুবই পরিচিত।  আর পরিস্কার দেখতে পেলো সংসারের ছোট্ট জমিনে বপন হয়ে যাওয়া অশান্তির আরেকটি বীজ। ডালপালা না মেলুক কিন্তু সার পানি না দিলেও তার যে কোন মৃত্যু নেই! সুযোগ পেলেই সময়ে অসময়ে সে তার অস্তিত্ব ঘোষণা করবে। তাই সে বললো—
     না ক্ষতি নেই তবে তার পূর্বে তোমাকে কয়েকটা অনুরোধ করলে রাখবা?
     কেনো রাখবো না, বলো কি সেগুলো?
     অনেকদিন হলো আমরা আমাদের ব্যাকইয়ার্ডে বসে জোছনা দেখিনা।  আজ পূর্ণিমা। পূর্বাভাস বলছে আবহাওয়া ও ভালো থাকবে। চলো আজ রাতে কিছু সময় আমরা জোছনা গায়ে মাখি!
     নীলু বললো ঠিক আছে। আর বাকী অনুরোধ গুলো…? 
     কাল সকালে আমরা হাইপার্কে যাবো। সেই এপার্টমেন্টে থাকাকালীন তৃপ্তি তখন মাত্র তিন বছরের, তারপর থেকে আমরা আর কখনো একসাথে হাই পার্কে যাইনি। 
     অসুবিধে নেই,  যাবো। কিন্তু বাচ্চারা মনে হয় যেতে চাইবেনা। তোমার বুঝতে হবে নিজস্ব মতামতের উপর ভিত্তি করে ওদের এখন একটা স্বাধীন পৃথিবী তৈরী হয়েছে। 
     তা জানি। তবুও বলে দেখতে পারো। তবে না গেলেও কোন ক্ষতি নেই। আমরা দু’জন ই যাবো। আজকে যেমন বেড় হলাম।
     আচ্ছা। আর কিছু?  নীলু জিজ্ঞেস করলো। 
     তৃতীয় এবং শেষ অনুরোধটার কথা পরে বলবো। 
     লেকের পারের স্নিগ্ধ তরল আবহাওয়াটা গাড়ীর ছোট্ট পরিবেশে কেমন ভারী হয়ে গেলো। সুইচ টিপে সজল গাড়ীর মুনরুফের দরজাটা অর্ধেক খুলে দিলো।
     পড়শীর ব্যাকইয়ার্ডে দীর্ঘ মেপল গাছের মাথার উপরে পূর্ণ ফোটা চাঁদ বাসন্তী জোছনার ধারায় ধুয়ে দিয়ে যাচ্ছে আধো জাগা পৃথিবীর অবয়ব!  মহাশূন্যে স্থিত পরিবেশ বৈরীতাকে উপেক্ষা করে ইতিউতি উঁকি দিয়ে যাচ্ছে চক্রবালের কিছু নক্ষত্র। উত্তর পশ্চিমের কোল ঘেসে সপ্ত ঋষিদের ওয়াগন আদিবাসীদের গল্পের মতো উজ্জ্বল! সজল নীলুকে বললো—
     এই বাসায় আাসার পরে আমাদের জোছনা উদযাপনের প্রথম রাতটা তোমার মনে পড়ে নীলু? 
     হুম পড়বে না কেন? 
     মনে পড়ে তুমি বলেছিলে পৃথিবীতে আজ তোমার মতো সুখী আর কেউ নেই! 
     হ্যাঁ মনে পড়ে বলেছিলাম হয়তো।
     হয়তো নয় নীলু, তুমি বলেছিলে। আর আমি এখনো পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি ভীষণ সুখী সেই নীলুর মুখায়ব।
     নীলু বললো আমি ঠিক বুঝতে পারছি না তুমি কি বলতে চাচ্ছো?
     সজল বললো, আজও ঠিক তেমনি জোছনা মন্দ্রিত একটি রাত অথচ তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী একটা মানুষ হয়ে সেই তেমনি আর তাকে উপভোগ করতে পারছো না!
     তুমি বুঝতে পারছো না সজল, সময়ও যেমন একই স্থানে থেমে থাকেনা, আমাদের জীবনের স্বপ্ন এবং চাওয়া গুলোও তেমন। চাওয়া-পাওয়ার হিসেবে জীবন সবসময়ই একটি পরিবর্তনশীল ভূমি।
     আমি জানি কিন্তু তা কতোটা? সব কিছুরই তো একটা শেষ মাত্রা থাকে কি়ংবা থাকা উচিত।
     আমি অতো কিছু জানিনা বাবা। পোর্ট ইউনিয়নের বাড়ীর কথা বলেছিলাম বলেই তো এতোসব। আর বলবো না এখন ভুলে যাও ওসব। 
     তাইতো তো চাই। কিন্তু আমি জানি সময় সুযোগ পেলেই ব্যাপারটা তোমাকে ভাবাবে নীলু। চলো এখন একটা কাজ করি।
     কি সেটা?
     চোখ বুঝে চলো কিছু সময়ের জন্যে দু’জনে চাঁদে ভ্রমণ করে আসি।
     সে কি করে সম্ভব?  
     খুব কঠিন কিছু নয়। চোখ বুঝে শুধু ভাবো তুমি চাঁদের পৃষ্ঠে ভেসে ভেসে হাঁটছো। 
     যতোটুকু জানি ওখানে তো শুধু একধরনের ধূসর মাটি ছাড়া আর কিছু নেই।
     তুমি ঠিকই বলেছো। অথচ দেখো দূরে আছে বলে চাঁদ আমাদের কাছে কি ভীষণ প্রিয়। কিন্তু প্রকৃত রূপে গুণে আমাদের এই ধরিত্রী মাতার কাছে ও কিছুই নয়।
     বুঝতে পেরেছি। অনেক রাত হয়েছে চলো এখন ঘুমোতে যাই। কাল সকালে না হাইপার্কে যাবে?
     তুমি যাও। আমি একটু পরেই আসছি বলে নক্ষত্র পথে নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকলো সজল।
     আমাদের কল্পনা, স্বপ্ন যা-ই বলিনা কেন তার সবটাই যে বাস্তব জীবনের চারণ ভূমির নির্যাস থেকে আঁকা এ কথাটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়। ধর্মীয় পুস্তক এবং বিশ্বাস মতে পরলৌকিকে একটা স্বর্গবাসী জীবনে ভোগ বিলাসের যে ধারণা আমরা পাই তাও যে এই ইহলৌকিকের সম্পদ সমৃদ্ধ জীবনের ভোগ বিলাসের আদলে নির্মিত হয়েছে তাতেও কোন সন্দেহ নেই। এমন কি এই জগত জীবনে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নারী পুরুষের অধিকার আর ভোগের মাঝে যে তারতম্য দেখতে পাই, কল্পিত স্বর্গের জীবনেও তা বিদ্যমান। শুধুমাত্র দৃষ্টির নান্দনিকতা বিচার করলে বছরের এই সময়টায় ফুলে ফুলে শোভিত হাইপার্ক যেন সেই কল্পিত স্বর্গেরই রূপ নেয়।
     ক্ষানিকক্ষণ এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করে সজল আর নীলু চলে এলো শিশুদের খেলার  জন্যে কাঠের নির্মিত সেই ক্যাসলটির কাছে। স্থাপত্য সৌকর্যে পুরনো দিনের সেই ডাইনিদের গল্প ফেঁদে আছে যেন ঘরটি। বাচ্চাদের লুকোচুরি খেলার উত্তম স্থান। বেদীর চারপাশটাই মাল্চ (কাঠের গুঁড়ি) দিয়ে আবৃত। যাতে পড়ে গেলে কেউ যেন আহত না হয়। পাখির কলকাকলি বাতাসে উড়িয়ে বেশ কিছু শিশু ছোটাছুটি করছে। অদূরেই একটা খালি বেঞ্চ দেখিয়ে সজল নীলুকে বললো চলো ওখানে গিয়ে একটু বসি। আজ তাদের সাথে তৃষা-তৃপ্তি কেউই নেই! 
     নীলু বললো এখানে আবার কি বয়ান দিবে শুনি?
     বয়ান নয় নীলু। একটা সময়কে স্মরণ করতে এলাম। বলতে পারো একটা তুলনাও।
     কি সেটা?
     তোমার মনে পড়ে প্রথম যেদিন এখানে এসেছিলাম তৃপ্তিকে ছেড়ে দিলে ও খাঁচা মুক্ত পাখির মতো দিকবিদিক ছুটতে শুরু করেছিলো আর তৃষা ওর পেছনে ছুটতে ছুটতে চেচাচ্ছিলো ‘তৃপ্তি স্লো ডাউন,  ডোন্ট গো ফার'!
     কথাটা সম্ভবতঃ নীলুকে একটু আঘাত করলো। ও বললো মনে থাকবে না কেন? আমার মনে হয় তুমি ভুলে যাও সজল আমি একজন মা। সেই গর্ভ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দুটা বাচ্চার বেড়ে ওঠার খুঁটিনাটি অনেক কিছুই সারাজীবন আমার মনে থাকবে।
     জানি নীলু। কিন্তু আজ অন্য একটি বিষয় ভাবতে চাচ্ছি বলেই বিষয়টা তুললাম।
     কি সেটা?
    ৭১২— এক বেডরুমের ছোট্ট সেই এপার্টমেন্টটার কথা মনে করো। তৃপ্তিকে কোন রকমে একটা বেড পেতে দিয়েছিলাম লিভিং রুমে। গোটা লিভিং রুমে বসার জন্যে একটা মাত্র লাভ ছিট। তাও লিয়ন থেকে কিস্তিতে টাকা পরিশোধের শর্তে কিনেছিলাম।
     হ্যাঁ মনে আছে। অভিবাসী হয়ে আসলে প্রথমদিকে প্রায় সবার অবস্থাই এমন থাকে। তাই বলে কি সেখানেই পড়ে থাকতে হবে? 
     না, তা কেন থাকতে হবে? এবং আমরাও নেই। কিন্তু এখানে এসে সেই সময়টাকে স্মরণ করার কারণ হলো, সেই টানাপোড়েন এর জীবনে সেদিন এখানে এসে যে সুখানুভূতি আমাদের ছোট্ট গন্ডির জীবনকে জড়িয়েছিলো তা কিন্তু আজ আর কোথাও নেই! এমনকি গত গ্রীষ্মে সবাই মিলে যে ইটালি ঘুরে এলাম তাতেও মেলেনি!  
     আমার মনে হয় তুমি একটা বিষয় বুঝতে পারছো না সজল। এবং তা হলো মানুষের জীবন যেমন নিয়ত বদলায় তাদের সুখের অনুভূতি গুলোতেও আসে তেমনি পরিবর্তন!
     এটা না বোঝার কিছু নেই নীলু। তুমি একদম ঠিক বলেছো। কিন্তু আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হলো পরিবর্তিত সেই সুখানুভূতিকে করায়ত্ত করতে তার পিছনে ছুটে বিশেষ কিছু পাওয়া যায় না। একটা সময়ে তাকে অন্তরাত্মার মাঝে খুঁজেই আত্মস্থ করার চেষ্টা করতে হয়। এ কথাগুলো তুমি নিজেও কখনো সখনো বলো কিন্তু পরক্ষণেই আবার ভুলে যাও!
     আমি এতোকিছু বুঝি না বাবা। একটা সহজ বিষয় জানতে চেয়েছিলাম আর তাই নিয়ে এতোকিছু!? আমি আর কোনদিন কিছু জানতে চাইবো না! হলো তো? চলো এখন উঠি। কাল থেকে আবার সপ্তাহ শুরু।
     চলো। তবে আবারও বলছি জানতে চাইবে না কেন? পৃথিবীতে আরও কতো বিষয় নিয়েই তো কৌতুহলী হওয়া যায়। সুখী-অসুখী ব্যাপারটা হলো আমাদের ছায়ার মতো। এক অন্ধকার পৃথিবী থেকে আলোর স্পর্শে আমাদের মনোজগতে এর অস্তিত্ব আমাদেরকে জানান দিতে থাকে। এর পিছনে ছুটে একে খাঁচা বন্দী করা যায় না। তবে অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ কে মাঝেমধ্যে পাশাপাশি এনে ভাবতে পারলে হয়তো তাকে উপলব্ধিতে আনা সম্ভব হয়। কিংবা অন্তর আলোয় চোখ মেলে থিতু হয়েই এর অনুভূতিকে ছোঁয়ার চেষ্টা করা যায়।
     দুই মেয়ের সকালের নাস্তা তৈরী রেখেই বেড়িয়েছিলো নীলা। বাসায় ফিরে দেখে তৃপ্তিরটা এখনও টেবিলেই পড়ে আছে। দুটা মেয়ে তাদের নিজস্ব জগতে এতোটাই বুঁদ হয়ে থাকে যে নূতন কেউ আসলে বাসায় আর কোন প্রাণী আছে কিনা এটা নিয়েই তাদের সন্দেহ জাগে। সেই নীরবতা ভেঙে নীলা একটু উচ্চস্বরেই বললো— তৃপ্তি তোমার ব্রেকফাস্ট এখনো টেবিলে কেন? যথারীতি ওদিকটা তখনও নৈঃশব্দ্যে ডুবে আছে!
     সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে সজল বললো ও খেয়ে নিবে যখন ইচ্ছে হয় তুমি এখানে এসে বসো। 
     আমার সময় নেই। রান্নার সব আয়োজন করতে হবে। যা বলবে তাড়াতাড়ি বলো।
     জাস্ট দুই মিনিট। বসোনা?-
     উল্টো পাশের সিটটায় বসে নীলু বললো, বলো—
     ডাইনিং টেবিলটার দিকে তাকাও
     ওটার আবার কি হলো? ওটা দেখতে হবে কেন?
     ওটা দেখতে বলছি কারণ আমাদের আগের টেবিল সেটটাও কিন্তু দিব্যি ভালো ছিলো। তুমিই পছন্দ করে কিনেছিলে। কিন্তু অন্য একটা উদ্দেশ্যে একদিন আসবাবের দোকানে গেলে এই সেটটা তোমার চোখে পড়ে যায়। তখন বলা যায় অকারণেই বেচারা আগের সেটটাকে এ বাসা থেকে বিদায় নিতে হলো!
     তাতে কি হয়েছে? মানুষের ভালোলাগা কি সারাজীবন একটা জায়গায়ই আটকে থাকে নাকি? তাছাড়া আগেরটা যখন কিনেছিলাম তখন এটা দেখলে হয়তো ওটা না কিনে এটাকেই কিনতাম!
     তোমার যুক্তি অনেকটাই সঠিক কিন্তু সবটা নয় নীলু। তবে সে তর্কে আমি এখন যাবো না। তার চেয়ে বরং এখন একটা অনুরোধ করি যদি শোনো? শেষ অনুরোধ! 
     কি সেটা? 
     ওর যেকোনো একটা চেয়ারে কান পেতে—
     না বরং চোখ বুঝে ওর হৃদয়টাকে শোনার চেষ্টা করো নীলু---
     ওরে বাবা এ আবার কেমন কথা? চেয়ারের আবার হৃদয় আসলো কোথা থেকে? তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
     তা জানিনা নীলু তবে তারপরও অনুরোধ করছি। দেখো কোন বৃক্ষের কান্না শুনতে পাও কিনা? ওর জন্ম ইতিহাসের সাথে এক বা একাধিক বৃক্ষের কান্না জড়িত আছে নীলু! একটু শোনার চেস্টা করো!---
     বিস্ফারিত নয়নে পলকহীন কয়েক মুহূর্ত সজলের দিকে তাকিয়ে থাকলো নীলু। এই এতোটা বছর পরে মনে হচ্ছে মানুষটাকে সে আবার নূতন করে দেখছে!?

ফরিদ তালুকদার। কানাডা