অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সিদ্দিকা ফেরদৌস তরু'র দু'টি কবিতা

নির্ভরতা
কালের এককাপ চায়ে চুমুক
মনে হয় প্রিয়ার ঠোটের নরম স্পর্শ।
ঘাসের উপর শিশির গুলো যখন
পরম আনন্দে দোল খায়,
তখন মনে হয় কত ঔদার্য, নির্ভরতা,
যেখান থেকে তোমায় দিবেনা কেউ ফেলে
এমনি তাদের পরম আন্তরিকতা।
যখন রেলিং ধরে সিড়ি গুলো ভেংগে উপরে উঠি
তখন অলস মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়,
যখন দেখি একটি সিড়ি অন্য সিড়িটাকে
জড়িয়ে রেখেছে পরম নির্ভরতায়,যেন
কেউ তাদের করবেনা সংগীহীন,বন্ধুহীন।
হেমন্তের আকাশ কত নীল,নির্মল ঝলমলে
পার্থিব জীবন কেন স্বচ্ছ নির্মল হতে পারেনা ?
প্রশ্নটা কিশলয়ের উপর টলমলে জলকনার মতো
ঘুরছে আর ঢুলছে।
এটা নিয়ে মাথা ঘামায়না কেউ।
কারণ আমরা স্বার্থপরতার মোহে ঢুলছি।
জীবন এখন বিদারণ বিদীর্ণ,
সেই বির্র্দীণ পথে কত সর্ম্পক করছে প্রবেশ,
সেথায় নেই কোন আনন্দ,নেই কোন আবেশ।
জীবন কি আবারও হতে পারেনা
একে অন্যের নির্ভরতা।
যেখানে সকালের নরম রোদের মতো
জড়িয়ে রাখবে ভালোবাসার গভীরতা,
আর চাইনা একে অন্যের প্রতি বিরুপতা,
শুধু থাকুক স্বার্থহীন,সুদবিহীন নির্ভরতা।

সুহৃদ 
সুহৃদ তুমি যাবে কোথায়? 
তুমি তো আছো আমার নিঃস্বাসে প্রশ্বাসে 
মনটা আমার পালাতে চায় অনেক দূরে 
হাজারো মানুষের মাঝে নিজেকে লাগে বড়  একা।।। 
মাঝে মাঝে মনে হয় জগৎসংসার ছেড়ে চলে যাই অচেনা অজানা কোথাও। 
আজ তোমায় খুব মনে পড়ছে, 
বহুদিন বহুবছর বহুকাল পরে। 
এটা কি ভালোবাসা না ঘৃণা? 
নিজের সাথে নিজেই করছি ছলনা। 
তোমার সুন্দর সাজানো মিথ্যে গুলো 
আজও হ্যাংগারে ঝুলানো কাপড়ের মতো ঝুলছে। 
সেটা ভুলি কি করে? 
সুহৃদ এখন মনের ভেতর
কেবলই অসার নির্জন শুন্যতা।
অমানিশা আঁধারে ডুবে গেছে মন
গড়েছে ক্ষত বেড়েছে গভীরতা।।। 

সিদ্দিকা ফেরদৌস তরু 
গাইবান্ধা, বাংলাদেশ।