অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
তপনকান্তি মুখার্জি'র দু'টি কবিতা

সর্বনেশে ডাক 
সেদিন কোজাগরী পূর্ণিমা, রাত জাগছে সবাই। নদী ডাকল তাকে। 
নদীর চোখে কামনা, নিঃশ্বাসে আগুন, 
বুকে চাঁদ, ঘাটের সিঁড়িতে ছলাতছলাত। 
নদীকে ছুঁতেই ছড়ানো আনন্দ। 
সে খুঁটে খুঁটে তুলতে লাগল - দুষ্টুহাসি, পঞ্চশর, 
শৃঙ্গারবাসনা। 
সে একবার নদীর বুকে, একবার নদী তার বুকে। 
এ করতে করতেই ভরাযৌবনা নদী টেনে নিল তাকে 
অনন্ত ঘুমে। 

রূপবতী 
কটু বৃষ্টিতেই আজকাল নদী বয় শহরে। 
এ নদীর কোনও নাম নেই, ধাম নেই, 
দুদিন পরেই ভোঁকাট্টা। 
এ নদীর কোনও বন্ধু নেই, তবু এখানেও কাগজ - নৌকো 
ভাসে, দামাল ছেলেরা জলছপছপ খেলে, খোলাম ছোটে জল কেটে কেটে। 
মাঝরাতে এ নদী কাঁদায়, ভাসায়। 
বুকচিরে বয়, তবু বুকে থাকে না কিছুতেই। 
রক্তক্ষরণ হয়, আবার মুছেও যায় অশ্রুতে। 
হনহন করে পিছু হাঁটে ভাবলেশহীন মুখে। 
এ নদী নিয়ে কী করব বলোতো? 

তপনকান্তি মুখার্জি। পশ্চিমবঙ্গ