অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ব্যাকবেঞ্চার - মোঃ আইনাল হক

চ্ছা স্যার; 
পড়াশোনা করে কি ধনী হওয়া যায়? 
দামি গাড়ি, 
বড় বাড়ি, 
চারদিক নামডাক,
একাউন্টে আট ডিজিটের অংক!

বাবাকে তো দেখলাম; 
পরিবারকে অন্ধকারে রেখে আজীবন 
অন্যকে আলোকিত করতে।
সমালোচকেরা আড়ালে আবডালে 
কি বলে জানেন? 
একটা আজব বাতিওয়ালা!
অবিরত আলো বিলিয়ে বেড়ায় 
অথচ নিজের জীবনই অন্ধকার মালা।

কিন্তু স্যার বাস্তবতা দেখুন!
সেই ব্যাক বেঞ্চারেরা সীমাহীন দাপটে সমাজ চরায়
অর্থ, 
যশ, 
খ্যাতি,
ক্ষমতা, 
প্রতিপত্তি, 
পেশীশক্তি; কি নেই বলুন?
ওদের ইশারায় দশজন ওঠে-বসে 
সত্য মিথ্যার নীতি নির্ধারিত হয় তাদের আদালতে,
অপপ্রয়োগ আর অপব্যবহারের নিষ্ফলা জমিন।

স্যার;
বাবা তো সারাজীবন না এর সমন্বয়ে 
জীবন যাপনের সূত্র শিখিয়েছেন,
লোভকে না,
শখকে না, 
ঔদ্ধত্যকে না
অন্যায়কে না, 
মিথ্যাকে না।
এই না এর সমীকরণ মিলাতে গিয়ে আজ 
অর্থ নেই, 
ক্ষমতা নেই,
বড় বাড়ি নেই,
দামী গাড়ি নেই, 
ঠোঁটের কোণে হাসি নেই, 
নেই, নেই, কোন কিচ্ছু নেই। 
কেউ বন্ধু বলে পরিচয় দেয় না,
সমাজের সুবিধাগুলো বাড়ায় না হাত,
চায় না হতে কেউ জীবন সঙ্গীনি। 

স্যার; হয়তো আপনি বলবেন!
সততা,
মানবিকতা, 
মনুষ্যত্ব, 
মূল্যবোধ,
এগুলোও মহামূল্যবান সম্পদ, তাই না?
সরি স্যার! 
এখানেই আপনার সাথে আমার দ্বিমত!
আপনি কি দেখাতে পারবেন, এর প্রয়োগ ক্ষেত্র?

আজ স্বজন প্রীতির 
অন্ধ ছায়ায় ঢেকেছে স্বদেশ,
পেশী শক্তির কাছে পরাজিত নীতিকথা, 
ক্ষমতার অপব্যবহারে লন্ডভন্ড স্বাভাবিক সিস্টেম,
লুটেরার পকেটে পিষ্ট লাল সবুজের পতাকা,
জনগণের কন্ঠনালী চেপে ধরেছে কালো হাত,
লুটতরাজের প্রকাশ্য দৌরাত্বে নিঃস্ব বাংলাদেশ। 
তবে কি স্যার! 
সমাজ ক্রমশ ব্যাকবেঞ্চারদের দখলে চলে যাচ্ছে? 

মোঃ আইনাল হক 
রাজশাহী, বাংলাদেশ