অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪
ঋণ - সুনির্মল বসু

বাবা বলতেন,জীবনে কারো কাছে কোনো ঋণ রাখতে নেই,
এইমাত্র যে যুবতী নদীতে স্নান করে উঠে এলো,
নদী ও আকাশের কাছে তাঁর যে আজন্ম ঋণ,
দেবদারু শিমূল জারুল বনে যে কবি হেঁটে চলেছেন,
অরণ্য ও অরণ্যপাখির কাছে তাঁর গলা পর্যন্ত ঋণ,
ঋণ আকাশের কাছে,ঋণ আলোর কাছে, ঋণ মানুষের কাছে,
সুখের কাছে,এমনকি দুঃখের কাছেও মানুষের আজন্ম ঋণ,
বিষন্নতা না থাকলে,কবিতা সুন্দরী ধরা দেয় না,
ঋণ নিই দুঃখের দিনে,
আনন্দ নিশীথে,
ঋণ কুড়োই পথের পাশ থেকে
ঋণ কুড়োই ভিখারীর মতো,
প্রতিটি ঋণ আয়ু বাড়ায়, প্রতিটা ঋণ,
জীবনকে ভালোবাসতে শেখায়,
সাগরের কাছে, পাহাড়ের কাছে মানুষের অনন্ত ঋণ,
ঋণ ভালোবাসি,ঋণে হাসি,ঋণে বাঁচি,
অজস্র ঋণ বনানীর কাছে,
মানুষের কাছে, জীবনের মাঝে,
প্রতিদিন চাঁদ সূর্য নক্ষত্র মন্ডলী চেয়ে দ্যাখে,
অযুত ঋণ ধরণী মাঝে,শালবনে মর্মরধবনি বাজে,
জগৎ মেতেছে কাজে
খালি হাতে এসেছিলাম,যেতেও হবে খালি হাতে,
রাত গভীরে সমুদ্র যখন শান্ত,
চলে যেতে হবে শেষ রাতে।

সুনির্মল বসু
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত