অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
গোলাম রববানী'র কয়েকটি কবিতা

মৌহূর্তিক হাওয়া
ম্পর্ক মুছে গেলে-
সম্পর্কের রঙো বিলুপ্ত হয়ে যায়; এ কী হৃদয়ে সয়!
সম্পর্কের ভাঙনে দুকূল শুধু শূন্য পড়ে রয়

গাঙচিল নীলজল জলরাশি ছুঁয়ে বাঁকে বাঁকে
ভুবনবেদনা জাগাতে ভালোবাসে; ঈর্ষার বেদনাবোধে
কারো কারো সুরবোধে মৌহূর্তিক কাকুতি জাগে
রাতজাগা চাঁদ মামা জেরা করে; ডুবে গিয়ে

সম্পর্কের দাগ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে
আজ বিশ্বদুনিয়া শুধু বিরাট বেদনার কবিতা আনে
আমিও জ্বলে যাই আগুনপোকার মতন করে

সম্পর্কের এতো আগমনী ধ্বনি তবে কেন চারপাশে? 

গদখালির সমস্ত ফুলে তুমি বার্তা পাঠাও
অক্সিজেন করে অবস্থান অধুনা মৌহূর্তিক হাওয়ায়
শূন্য থেকে ছিঁড়ে এসে পাথর পড়ে এলাকায়

হে সম্পর্ক!কাছে এসো সম্পর্কের মতো হয়ে
যতন করে যদি পারো যদি পারো দ্রুত ছুটে এসো
কাছে এসো যাকে  বলা যায় স্বর্গীয় ভালোবাসা

সেইদিন এই ভাষা
সেই দিন এই ভাষা থামবে নাকো মানি
আজি শিশু আগামীর মুখে
সেদিনো করিবে বচন
সোনার বাংলার ভাষা করবে আরো উজ্জ্বল বিশ্বে!
বিথারা কোরা গেছে বলে
ধানফুল কি আর ফুটবে না সোনার কৃষকেরো মাঠে
স্নিগ্ধ বাতাসের পরাগায়ণে?
ধানশালিক কি কভু ধরবেনা ফড়িং ক্ষুধা মিটিবারে
সোনার বাংলার ভাষা করবে আরো উজ্জ্বল বিশ্বে!

দেশ বিদেশে নরম বুলি ছড়ায় আলো অক্রূর কলে
কালের খেয়া চড়ে চড়বে জাতি অনন্তকাল এ ভবে
ফেব্রুয়ারীর স্মৃতিময় একুশ বেঁচে রবে চিরকাল
ফর্মোশান শূন্য আজ নার পাম ভষ্ম হয়ে গেছে

সেই দিন এই ভাষা থামবে নাকো মানি
বাংলা ছাড়ায়ে সারাবিশ্বে নিশ্চয় করবে বিচরণ 

বাসন্তী ভালোবাসা
জেনে গেছে সত্যধরা ফাগুন এসেছে বনে
মনে মনে ভালোবাসার রঙ মেখেছে অনলে,
যেখানে কোটি লোকের নরম দিল কলিজা
পাষণ্ড পাপিষ্ঠের ছোঁয়ায় ছুঁয়ে বাঁচে আধমরা,
যেখানে মানুষ স্বর্গীয় প্রেমে প্রতিনিয়ত বাঁচে
শূন্য হৃদয় বিরানভূমি তবুও দেখো চাঁদ হাসে, 
ভালোবাসার লিলি ফুটে ফাগুনে শিমুল পলাশ
তিনশো পঁয়ষট্টি দিনে তবে কেন এত হাহুতাশ! 
তোঁমার পরশের কৃপা পেয়ে জনতা হাসুক হাসি
রক্তিম শ্লোগানে মিছিলে ভরুক না বুক বিশ্ববাসী! 
জেনে গেছে সত্যধরা ফাগুন এসেছে মনের বনে
জেগে উঠেছে মানবের মন দখিনা হাওয়ার দিনে।

প্রেম 
প্রেম এলো,
অনেক প্রতীক্ষিত প্রেম!
বঙ্গোপসাগরের উত্তর পাশে বদ্বীপগ্রামে;
প্রেম এলো বসন্ত হাওয়ায়-
নীলম আকাশে- 
ফাগুনও পূর্ণিমার ভরা জ্যোৎস্নায়! 
শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়া ফুটে লালে লালে প্রেমনেশার।
আদিগন্ত জুড়ে-
গোলাপ ফুলের সুতনু আনন্দ ধরার,
আনন্দমুখর দিনে গ্লোবাল গ্রাম্যলোকে থ্রিলকাঁপায়!
সিক্তভেজা দূর্বাঘাসও এতোটুকু পুড়ে যেতে চায়-
বাতাস বিদারে
কাটিয়ে খরা পূর্ণ প্রেমের জোয়ার।
ভরা যৌবন তটিণী-র তরঙ্গিত বানের মতন
আকাশ ফেটে আজ 
ফাগুন লাগে রক্তপ্রাণ অন্তর;
আতসি হিমমাঝে
চাতক পাখির আকুলতা অফুরান-
ছেড়ে আসা স্বর্গচ্যুত প্রেম অ্যাডাম পিক শ্রীলঙ্কার।
যেখানে বিস্মৃত প্রেমে ঝরে গেছে
হাওয়ার পবন,
সেখানে এসিড বৃষ্টি নামে 
নাম তার ভালোবাসার।
প্রেম এলো,
অনেক প্রতীক্ষিত প্রেম!
ঘরে-বাইরে 
ভ্যালেন্টাইন্স ডে নামে প্রেমের অনল হয়ে।

গোলাম রববানী
২৮ মাঘ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ 
কেশবপুর, যশোর