নির্মল পৃথিবী - শাহ্ বাহাউদ্দীন শিশির
(১)
সময়ের পাঁচিলে দাগ কেটে চলে সহস্র ক্রোশ,
তবু মেলে না পথের ঠিকানা।
সাগরের গর্জন আর পাতার রুম-ঝুম,
সবইতো প্রকৃতিরই ছলনা।
কেন এই প্রহসন, এই যন্ত্রনা,
বিনিদ্র রাত্রির হাহাকার সুরের মূর্ছনা।
আলোয় ছড়ায় আলো,
আর আঁধারে আঁধার মেলে।
(২)
লু-হাওয়ায় বালি ওড়ে,
আর তুষার ঝড় বয় উত্তর মেরু কোনে।
সুখ বিলালে মেলে প্রশান্তি,
আর দুঃখ ছড়ালে বাড়ে অশান্তি।
ভালো-মন্দের ডামাডোলে বাড়ায় কষ্ট তিলে তিলে,
আর ক্ষমা আনে অনাবিল তৃপ্তি - সবার মিলে।
অট্টালিকা-জনপদ হয় ধ্বংস অশুভ ঝড়ে,
আর ভালবাসায় প্রাসাদ গড়ে ছোট্ট নীড়ে।
(৩)
হারানোর ব্যথা নিয়ে কেন বসে থাকা,
যখন প্রতিটি মুহূর্তই অসাধারণে আঁকা।
ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে মিছে কেন কাঁদা,
চলে সময় যেনো স্ফুলিঙ্গে হারিয়ে ফেলা।
প্রযুক্তির কৌশল কেন নিষ্ক্রিয় ফেলে রাখা,
হাতের মুঠায় থাকে যখন জ্ঞানের শিখা।
যদি থাকে সাধ্যের মাঝে সীমা,
কেননা দাও পাড়ি অজানার রেখা।
(৪)
কেন নেতিবাচক ভাবনা ভাবা,
যখন ইতিবাচকেই আছে প্রান শক্তি সাধা।
সূর্যতো শুধুই ছড়ায় আলো,
অমাবস্যা করে আচ্ছন্ন আঁধার কালো।
দোতারার তারগুলো আছে বসে বাজবে বলে,
ধুলো আর জঞ্জালে কেন রাখো ফেলে তারে।
বুঝই যদি সব; কেন স্থবির হয়ে?
যেতে হবে বহুদূর সমরকাল ফেলে।
(৫)
ভীতি শুধু বাড়ায় ভয়,
সাহস আনে লক্ষ্যের জয়।
প্রাচুর্যের গরিমায় কি ভগবান চলে?
দারিদ্র্যের মাঝেই যখন বিধাতা মেলে।
করো বিনাশ আঁধারের আবরণ প্রচণ্ড আক্রমণে,
করো আলোড়ন, অবসান করো তমসারে।
মেলাও হাত,আলোকিত করো ধরণী,
গড়ে তুলো সুন্দর, নির্মল পৃথিবী।
শাহ্ বাহাউদ্দীন শিশির
অটোয়া, কানাডা
-
ছড়া ও কবিতা
-
01-05-2022
-
-