শীতল চট্টোপাধ্যায়'র দু'টি কবিতা
গানের ফেরিওয়ালা
ভিন্ন সুরের সমন্বয়ে জীবন গান৷
গান কখনো স্বরলিপির সপ্তসুর বন্ধনে,
কখনো বন্ধনহীন আপন কথাতে
ইচ্ছে সুরের খাম-খেয়ালি স্বর প্রয়োগে৷
ঈশ্বরদত্ত কন্ঠে সুর পেয়ে কেউ -কেউ আসে পৃথিবীতে৷
কন্ঠের মধ্যে প্রাণ পায় গান, গান দেয় শ্রবণ প্রশান্তি,
সেই গানে শ্রবণেন্দ্রিয় স্পর্শিত হতে অপেক্ষমান শ্রোতা৷
সেই কন্ঠ, সেই সুর, সেই প্রকাশকের নাম -সঙ্গীত শিল্পী৷
তারপর গান ফেরির ফেরিওয়ালা সেই শিল্পী৷
নিকটে, দূরে, দৃশ্যে, অদৃশ্যের গানে যার
শ্রোতা মূল্যায়িতে শিল্পী সার্থকতায় -জীবনে অন্য জীবন লাভ,
সুর নদী হয়ে দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘ পথ পেরিয়া আসা৷
সেই নদীতেই স্থির মঞ্চে চলমানে গান ফেরি করতে - করতেই-
হঠাৎই একদিন অন্য ফেরি পথের এক অনিবার্য নিঃশব্দ ডাকে
আলোর দৃশ্যমান থেকে ছায়ার ফেরি পথে হাঁটা৷
সুরের মায়াজালে আবিষ্ট ধরণী
চাক্ষুস করতে পারেনি, সে যাওয়ার!
পাওয়ার প্রতীক্ষায় ছিল আকাশ ওপার ,
তারারা অপেক্ষায় ছিল, তাদের দোরে -দোরে আসবে
গান ফেরিওয়ালা৷
বৃষ্টি গান
মেঘ মঞ্চ সাজানো সম্পূর্ণ হলে
শুরু হয় বৃষ্টি গান৷
বৃষ্টির সুর তারল্যে ভিজে যায় মাটির মন,
সিক্ত হয় মানুষের হৃদয় গভীর৷
একই বৃষ্টি গানের-
ভিন্ন শ্রোতার বিভিন্ন অনুভবকে ছুঁয়ে যায়
আধ্যাত্মিক, রাগপ্রধান, রবীন্দ্র -নজরুল বা আধুনিকে৷
বৃষ্টি সুরে নিজের অনুভবী সুর জুড়ে-
সঙ্গীত ধারার মুগ্ধতা নিতে- নিতে পার হয় ক্ষণ৷
জানালার - এ পিঠের মন, আনমনা হয়- ও পিঠে,
বষ্টির গান কথার সাথে গুনগুনায় মন কথা৷
বৃষ্টি গান শুনতে -শুনতে হেঁটে যায় বাতাস,
ফুলের পাপড়ি বেয়ে গড়িয়ে পড়ে
বৃষ্টি গানের গীতি কথা,
বৃষ্টি কন্ঠে - কন্ঠ হারায় শব্দরা৷
শীতল চট্টোপাধ্যায়
জগদ্দল, উত্তর ২৪ পরগণা
পশ্চিমবঙ্গ
-
ছড়া ও কবিতা
-
03-06-2022
-
-