অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রত্নতাত্ত্বিক ভালোবাসা - মোহাম্মদ ইল্ইয়াছ

মরা ছিলাম যোজন যোজন দূরে। মিলনের সন্দর্শন
হলো দিনাজপুরের টেরাকোটা মন্দিরে। কান্তজীর গড়া সেই-
পুরাকীর্তির আখ্যানগুলো আজো সজীব। রাম-রাবণের যুদ্ধ-
বিমোহিত করেছিলো বাহুডোরে। সীতা কেঁদেছিলো হরণের পরে।

আমরা ছিলাম বিছিন্ন নিকেতনে। আমাদের তবুও সখ্য হলো
কাপ্তাই হ্রদের জলে।তুমি ঝাপ দিতে চাইলে, চাইলে বন্ধন মুক্তি 
আমি ছায়া দেখে বল্লাম এখানে শুধু জলের  সৌধ গড়া
আমরা হারিয়ে গেলাম পার্বত্য বনের গহীন কালো অন্ধকারে। 

আমরা ছিলাম বেদনা ও কষ্টের সাগরে। একদিন ভাসতে ভাসতে 
এলাম শালবন বিহারের ময়নামতিতে। তুমি ছিলে শালপাতা পরে
তোমার হাতে অষ্টম শতকের পুষি।পলির অক্ষর গুলো অচেনা
বুদ্ধের অহিংস বাণী আমাদের দুই থেকে একবৃত্তে দাঁড় করালো।

আমরা ছিলাম নৈকট্যহীন ঘরের বাসিন্দা,  কতকাল পরে
আবার দেখা হলো ইছামতীর চর নিঝুম দ্বীপের  তটে
তুমি একটি হরিণছানা কোলে নিয়ে ভাবছিলে ওসমান আলীর কথা
নিঝুম দ্বীপের সেই  অভিযাত্রায় আমরা পেয়েছিলাম অসীম স্পর্শ। 

আমরা ছিলাম নীল যমুনার বিচ্ছিন্ন কূলে। একদিন 'তাজের-
মর্মর  ভালোবাসার মমতাজ আমাদের ডাকলো।আমরা আগ্রায়
দেখলাম শাজাহানের কীর্তি, যা চল্লিশে দেখেছিলেন আমাদের পিতা
আমাদের এই প্রত্নতাত্ত্বিক ভালোবাসার ইতিহাস কেউ  লিখে রাখেনি।

মোহাম্মদ ইল্ইয়াছ। বাংলাদেশ