অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
উদয়ন চক্রবর্তী'র দু'টি কবিতা

কেন যাওয়া কিসের সন্ধানে
চুল্লির হাঁ মুখে আগুনের 
উন্মত্ত হাহুতাশ
আর কতটা শুষে নিলে শান্ত হবে
এ নিরন্তর যাত্রা --
যদিও নিথর শরীর মাছরাঙার ধ্যান দেখে
একমনে শৈশবের ছেলেবেলার পিঠে চেপে স্বপ্ন দেখে
জীবন হাভাতের অবাধ্য অনুসন্ধানে হাঁটে
সবারই ছবি আঁকার সরঞ্জামে সবই আছে
তুলি টেনে যায় অন্য কেউ বরাদ্দ ক্যানভাসে। 

এত দৌড় ঝাঁপ এত কোলাহল 
ওদিকে নিশ্চিন্ত প্রান্তর অনন্ত ঘুমে
সে জানে সমস্ত যাত্রা পথ মিশেছে শ্মশানে--
ক্যানভাস একই থাকে তুলি পাল্টে যায়
কেউ রামধনু আঁকে উন্মাদনায়
কেউ খেলা করে কালো সাদা রঙে।

এই সেই রাস্তা শুয়ে আছে স্মৃতি বুকে
হেঁটে গেছে উল্লাস হেঁটে গেছে সময় ইতিহাস হয়ে
তবুও আকাশ ভরা উঠোন সবখানে যুবতি নদী 
মাঝি নিজেই জানে না কেন যাওয়া কিসের সন্ধানে।

সেও থাকবে না 
সেই সব ফেলে আসা বৈশাখী দুপুরের
ঘাম ঝরানো আইসক্রিম ওলার মায়াবী ডাকের মতো নিঃশব্দে ছুঁয়ে যায় কিছু ধূসর ধুলো মাখা স্মৃতিকথা
আমি ক্লান্ত ঘুঘুর ডাকের মতো ডাকতে থাকি নিজেকে।

বুড়ো প্যাঁচার মতো ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকি হলুদ হয়ে যাওয়া সময়ের ঘুমন্ত পাতায়,
তবুও বারবার ফিরে আসে অতীতের
কানাগলি পথ যেখানে কী যে চাই না
জেনেই হেঁটে গেছি পাগলা দাশুর মতো হাত ধরে হাত ছেড়ে।

আজ বুড়ো প্যাঁচা ভাবে কী যে চাওয়া 
ছিল আজও বোঝা হোলো না
আজও কী পেতে বসে থাকা ভাবতে 
ভাবতে সময় চলে মৃত্যুর গুনোগান গেয়ে আর বলে যায় 
আজ সে আইসক্রিম ওয়ালা আর নেই -নেই ঘুঘু ডাকা দুপুর --
এখন যা আছে সেও থাকবে না যেন  আরও কিছু দিন রাত্রি শেষে হারিয়ে যাওয়া চড়ুই এর মতো।

উদয়ন চক্রবর্তী 
কোন্নগর হুগলী 
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত