অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শীতল চট্টোপাধ্যায় এর দু'টি কবিতা

বাইশে শ্রাবণের ফিরে ছোঁয়ার
বীন্দ্রনাথ বলেই -
জীবনের দাগ থেকে যায়
মৃত্যুর গায়ে ৷
বাইশে শ্রাবণের
বৃষ্টি নিকেতনে ভিজতে - ভিজতে
সেই এক মানব দেবতার উদ্দেশ্যে
রবীন্দ্রবন্দনা , রবীন্দ্র চেতনা টুকুকে -
রবীন্দ্রতেই  নত করানো ৷
বাইশের শ্রাবণ মেঘের ছায়ায় কিংবা
রোদ্দুরের আলো রূপ হয়ে ,
হয়তো ফিরে
ছুঁয়ে যান তিনি -
জোড়াসাঁকোর খোলা জানালা ,
শান্তিনিকেতনে ছাতিম পাতার আড়াল ,
মংপু পাহাড়ের মেঘকুয়াশা ,
গৌরী ভবনের নির্জনতার - বিরাজমানতাকে ৷
আকারহীন বাইশে শ্রাবণের ফিরে ছোঁয়ার
স্পর্শানুভূতি পেতে চান
রবীন্দ্র ছবি , রবি মর্মর ৷

তাঁদেরই দানে
হাতে এনে রোজ স্বাধীন আলো
হাতে - হাতে দেয় সূর্য এসে ,
স্বাধীন জোছনা রাতে দেয় চাঁদ
স্বাধীনে আকাশ স্থির এই দেশে ৷
স্বাধীনতা এসে বয় তারপর
বয় বুকে - বুকে ও অন্তরে ,
উড়ান হয়ে সে পাখির ডানায়
স্বাধীন রঙে সে ফুলেও ধরে ৷
স্বাধীনতা দোল ধানের শিষে
রবি শস্যতে চাষির ক্ষেতে ,
স্বাধীনতা - চাষি দুজনেই
ঘুমিয়ে পড়ে চেটাই পেতে ৷
এই স্বাধীনতা আনতে গিয়েই
আসেনি আর ক্ষুদিরাম ফিরে ,
ফেরেননি আর মাতঙ্গিনীও
নিশ্বাস নেওয়া জীবনের তীরে ৷
ভারতনেতা নেতাজী নিখোঁজ
স্বাধীনতা ঠিক আসার আগে ,
সেই নেতাজীকে দেখার ইচ্ছে
স্বাধীনতার আজও যে জাগে ৷
স্বাধীনতার জন্য শহীদে
ভারতবর্ষ হয়েছেন যাঁরা ,
তাঁদেরই দানে পঁচাত্তরের
বহমানতায় স্বাধীন ধারা ৷

শীতল চট্টোপাধ্যায়
জগদ্দল , উত্তর ২৪ পরগণা
ভারতবর্ষ