অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শীতল চট্টোপাধ্যায় এর দু'টি কবিতা

বিকেলের চিঠি
রও কিছু কিংবা
অনেক ভাবনা থেকে গেল,
কবিতার কোলে জন্ম না পেয়ে৷
কলমে আরও কিছুটা কালি থেকে গেল
বিকেলের স্তব্ধতায়৷
না লেখা হয়ে থেকে গেল যে -যে শব্দ,
তারাও শব্দ হলনা কলম ঠোঁটে৷
ওপার থেকে এপারে আসার নৌকোটা
পার ছোঁয়ার অনতিদূরে৷ তখনও বাসায়
না পৌঁছানোর পাখিটা উড়ন্তেই,
বিকেলের কুঁড়িরা না ফোটায় থেকে গেল
তাদের কাছে আগামী কাল আসবেনা বলে!
বিকেলের রঙে লেখা চিঠিটা
শেষ বিকেলেই শেষ লেখায়৷
বিকেলকেও বিকেলের পূর্ণতা না দিয়ে
খুব দ্রুত আপন হতে চায় রাত আজ!
কবিতার হাতও নিখোঁজ তখন,
লেখা চিঠিটা দেয়ার জন্য৷

অভিন্নতার নীল আকাশ
চোখ বাড়িয়ে ছোঁয়া যায় আকাশ৷
বাড়ানো মন মেশানো যায় আকাশের নীলমনে৷
রুপকথা হয়ে চাঁদকথা শোনে জীবন,
তারামন মিশে যায় একান্তের একাকী মনে৷
জীবনের শোক -সুখ কথা,
শোক -সুখের ক্ষণে বলা আকাশকেই৷
একই আকাশপথের এক আকাশেই পৌঁছায়
আরতির শঙ্খধ্বনি, গির্জার ঘন্টাধ্বনি,
আজানের সুর, গুরুদ্বারের প্রার্থনা৷
প্রকাশ ভিন্নতা মেশে অভিন্নতার নীল আকাশে৷
ধর্ম, কর্ম, ভেদ -বিভেদ, জাত-পাত, হিংসা,প্রেম
একটি আকাশ এক করে বেঁধে নেয় তার নীলবন্ধনে৷
পৃথিবীর মানব চক্ষু সেই
একটি নীলকেই দ্যাখে৷

শীতল চট্টোপাধ্যায়
জগদ্দল, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ