অটোয়া, মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর, ২০২৪
“পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন” - আশ্রম সংবাদ

পাঁচ বছর বিরতির পর ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩' এ বিদ্যাপ্রকাশ থেকে, অটোয়ায় বসবাসরত কবি সুলতানা শিরীন সাজি'র কবিতার বই,“ঝিমলী এবং বালিহাঁস” বের হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে বিদ্যাপ্রকাশ এর ৩০৭,৩০৯,৩১০ স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ।

বইয়ের নামঃ ঝিমলী এবং বালিহাঁস
প্রকাশনাঃ বিদ্যাপ্রকাশ
প্রকাশকঃ মজিবর রহমান খোকা
প্রচ্ছদ শিল্পীঃ আনিসুজ্জামান সোহেল

ছোট গল্প, বেড়ানোর গল্প, যাপিত জীবনের গল্প নিয়ে লিখলেও কবিতাতেই শিরীন সাজির ভালোলাগা।  তিনি বলেন,লিখতে ভালোবাসি কবিতা, পড়তে ভালোবাসি কবিতা!

আগামী শনিবার, ২৫  ফেব্রুয়ারী ২০২৩  এ কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটি আয়োজিত ১১ তম  কানাডা একুশে বইমেলায় ( 8200 St Laurent Blvd. Montreal,QC, H2P 2L8)  শিরীন সাজি এবারকার প্রকাশিত বই এবং পূর্বে প্রকাশিত বই নিয়ে মেলার স্টলে উপস্থিত থাকবেন( দুপুর বারোটা থেকে রাত দশটা)।

“ঝিমলী এবং বালিহাঁস” এর 
উৎসর্গ
“নয়নসমুখে তুমি নাই
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই
আজি তাই শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল”

নীলিমার সেই পাখিটিকে
যে আমায় আকাশ নীলে ভাসিয়ে বেড়ায়…

কভার ফ্ল্যাপের লেখাঃ
কবি সুলতানা শিরীন সাজি কবিতায় জীবন সাজাতে ভালবাসেন। জীবনের দুঃখ সুখের ছবি আঁকেন তিনি শব্দের জাদুতে। গাছ,পাখি, আকাশ, নদী , সমুদ্র আর মানুষ বারবার তার লেখায় ফিরে আসে, সবুজ পাতার মত ঝিরঝির দোলায়, নদী, সমুদ্রের ঢেউয়ের মত ঘুরেফিরে। শিরীন সাজি মনেপ্রাণে পাখি হতে চেয়েছেন, চেয়েছেন মানুষের জীবন ফেলে দূরভাসী নদী হতে।তাঁর কবিতায় প্রকৃতি এক দারুণ অনুষঙ্গ। আনন্দ আর বিষাদ নিষাদের ভিতর দিয়ে জীবনের নির্যাস আকন্ঠ পান করেছেন কবি ফলে তাঁর কবিতায় যে জীবনবোধ তা অনন্য হয়ে ফুটেছে।

ভালবাসা ! একমাত্র ভালবাসাতেই পৃথিবী থেকে দূর হতে পারে সমস্ত বৈরীতা, দ্বন্দ্ব আর বিভেদ! ঝিমলী এবং বালিহাঁস কবিতায় কবি ঝিমলীকে নদী বলছেন আবার বিরহ বলছেন। বালিহাঁসকে বলছেন দুঃখ। এই যে বিরহ এবং দুঃখ আছে তবু ভালোবাসা কিন্তু অনিবার।ভালোবাসা বয়ে চলছে জন্ম থেকে জন্মান্তরে।মানুষ থেকে মানুষে!জীবনের স্বভাব হলো নদীর মত বয়ে চলা! রেলগাড়ির মত পু ঝিকঝিক করে দৃশ্যের পর দৃশ্য পেরিয়ে ছুটে যাওয়া! বেঁচে থাকলে জীবনে  এই চলার আনন্দ মূর্ত হয়! 

"চোখেতে চুমুর দাগ জল ছুঁইছুঁই’ কিম্বা ‘চোখ ভর্তি জলের চিঠি জমানো, তাকালেই যদি হুড়মুড় করে বেড়িয়ে পড়ে শব্দবৃষ্টির দল’ অথবা ‘জানতে চাও, চোখের নদীতে কি করে সুনামী হয়?’ এইসব অনন্ত প্রশ্নের মত কবিতার চরণ এসে ধরা দেয় চোখের ক্যামেরায়। মন আঁকে ছবি।

বইমেলায় “ঝিমলী এবং বালিহাঁস” হাতে জাকিয়া পারভীন, কবি শিরীন সাজির কবিতার অনুরাগী। জাকিয়া বলেন,”কবি সুলতানা শিরীন সাজি'র লেখার সাথে পরিচয় ঘটে ২০১৫ তে। যেদিন তার প্রথম লেখা পড়ি অনুভূতি ছিলো যেনো নিজেকে দেখছি প্রতিটি শব্দে। পড়তে যেয়ে বারবার মনে হতো আমি যেনো কবিরই ছায়া। অদ্ভুত এক মন কেমন করা অনুভব হতো। তখনও ব্যাক্তি সাজি কে আমার জানা হয়নি। আমার মন বলতো আচমকা তার সাথে একদিন দেখা হবে আমার আর সে কারণে তার সাথে এই চেহারার বইতে যোগাযোগ করবার ইচ্ছে হয়নি। ২০১৮ তে আমার এই অদ্ভুত অপেক্ষা পূরণ হলো। কবি সাজির সাথে আচমকা দেখা হলো সাথে মিঠু খালু। কবিতার মতো জড়িয়ে ধরেছিলেন প্রথম দেখায়। অদ্ভুত এক ভালো লাগায় মন সুখি হয়েছিলো সেদিন। আজও সেই দিন মনে এলে মনে সুখ হয়।  সেই থেকে তার কবিতার মেয়ে হয়ে আছি।”

আশ্রমবিডিডটকম
অটোয়া, কানাডা