অটোয়া, রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
লেখক মহসীন বখত এর একুশের বক্তৃতা - সংগৃহীত

ই বৎসর “বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী (বাকাওভ)” আয়োজিত একুশের অনুষ্ঠানে বেশ দেরি করেই যাওয়া – ঘন্টাখানেক দেরি তো হবেই। হলে ঢুকে দেখলাম [পেছনের] সারিতে বসে আছেন আমার এক প্রিয় বক্তা এবং লেখক, কবি মহসীন বখত এবং কফি পান করছেন। পাশে বসে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার বক্তৃতা শেষ! কিছু বলেছেন? বললেন, “হ্যাঁ, বলেছি সম্যক”। বললাম, আপনার আলোচনাটা শোনা হলো না। লিখা থাকলে আমাকে দিবেন - আশ্রমে ছেপে দেব। আপনার বলা কথাগুলো পড়া হবে- আশ্রমের পাঠকরাও পড়বে। বললেন, “তা আর দরকার হবেনা, অনেকগুলো ক্যামেরা আর মুঠোফোন তাক করা দেখেছি। কেউ কেউ ফেবুতে লাইভ ছেড়ে দেবেন, শুনে নেবেন। তাছাড়া আমি লিখে এনে বক্তৃতা দেইনি, যা মনে এসেছে তাই বলে দিয়েছি”। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের ছিটেফোঁটাও দেখলামনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে কেউ কেউ মুখে মুখে বলেছেন, চমৎকার একটা বক্তব্য দিয়েছেন মহসীন বখত । ফেসবুকে কিছু আলোচনার কোন ভিডিও না পেয়ে ফোন দিলাম মহসীন ভাইকে। তিনি বললেন, সেলফোনের অডিও রেকর্ডার চালু করে টেবিলে রেখেছিলাম, শুনে দেখবো যদি রেকর্ড হয়ে থাকে তুলে দিয়ে দেব। লেখক মহসীন বখত তার কথা রেখেছেন এবং অডিও রেকর্ডকৃত বক্তব্যটির লিখিত রূপটি আমাকে দিয়েছেন। ধন্যবাদ লেখক মহসীন বখত – মহসীন ভাই। প্রিয় পাঠক লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন এবং আমার বিশ্বাস আপনাদের তাহা ভাল লাগবে। 
-সম্পাদক, আশ্রম

সুধীজন

শুভেচ্ছা আপনাদের সকলকে। 

আমি কেউকেটা নই যে খানিক বাক্য ব্যয় করে আপনাদের পুলকিত করতে পারবো। আনন্দ দিতে পারবো। তবু বাকাওভকে ধন্যবাদ আমাকে কিছু বলার সুযোগ করে দেবার জন্য। প্রারম্ভেই আমি সকল ভাষা-শহিদদের স্মৃতির প্রতি অপার শ্রদ্ধা আর প্রণতি জানাচ্ছি। 

একুশ আমরা সকল বাংগালির আবেগরংগিন একটা দিন। আর মাতৃভাষা কথাটার সাথে মায়ের সম্পর্ক যে কত গভীর আর গহন তা আজকের জেনেটিক বিজ্ঞানের তথ্যগুলো আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে। 

আজ এখানে একটা দৃশ্য আমাকে ভীষণ পুলকিত ও আনন্দিত করছে এজন্যে যে, দেখতে পাচ্ছি শাড়ীতে শোভিত চিরায়ত বাঙালি ললনার পোশাকে আপনারা এসেছেন, কেউ এখানে অন্ধকার আলখাল্লায় অবগুন্ঠিত নন। আজকের দিনে এটা বিরল দৃশ্য। মায়েরা কালো আচ্ছাদনে নেকাবে মুখ লুকোলে বসুন্ধরা যেন মুখ লুকোয়। 

মানুষ কেমন করে ভাষা পেলো বা কেমন করে ভাষার উদ্ভব হল, এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত কালে কালে। ভাষার উদ্ভব বিষয়ে বাবেল বিতর্কে মানুষের দুই হাজার বছর কেটে গেছে। ফ্রান্সের ভাষা গবেষণা কেন্দ্রটি শেষে কপাট লাগিয়ে দেওয়া হয় যখন বিতর্কটি বিদঘুটে আবহ সৃষ্টি করে। বলা হত, সদাপ্রভু একদিন মর্ত্যবাসীদের দেখতে এলেন। দেখলেন, পৃথিবীর মানুষ বহুতল বাবেল প্রাসাদ নির্মাণ করে ধাপেধাপে উপরে উঠছে। অচিরে তারা স্বর্গের ঠিকানায় বা ঈশ্বরের আরশে পৌঁছে যাবে। সদাপ্রভু ভাবিত হলেন আর ফেরেশতাদের বা দেবদূতদের বললেন, আইসো আমরা এদের ভাষা ভুলিয়ে দেই। আদিতে ঈশ্বর একটি ভাষা দিয়েছিলেন। যেই কওয়া অমনি ঠিক তাই হল, সদাপ্রভুর মনোবাঞ্চায় মানুষ বিস্মৃত হল আপন মাতৃভাষা। কেউ কারও কথা বুঝতে পারছেনা আর। ফলে তারা দিকবিদিক ছড়িয়ে পড়লো যেদিকে চোখ যায় মন যায়। আদিতে এক ভাষায় কথা বলতো তারা কিন্তু বিছিন্ন হবার কারণে তাদের বংশধরদের ভিন্নভিন্ন ভাষা হয়ে গেলো।

কী সহজ সমাধান। রকমারী ভাষা উদ্ভবের বিষয়ে এটা হল সবচে তর্কিত বাবেল তত্ত্ব। আরও আরও তত্ত্ব রয়েছে ভাষা উদ্ভবের বিষয়ে। ধারাবাহিকতা তত্ত্ব, পরচর্চা তত্ত্ব, মা ও সন্তান তত্ত্ব ইত্যাদি। আমার কাছে খুব ভাল লাগে মা ও সন্তান তত্ত্বটি। অবশ্য বহুবিধ পরিব্যাপ্তি বা মিউটেশন লক্ষলক্ষ বছরের বিবর্তনের বাঁকেবাকে কাজ করেছে মানুষের কন্ঠে ভাষা অর্জনের অন্তরালে। এটা কোনো দৈবশক্তির কল্যানে হয়নি। 

চিন্তা করুন বা কল্পনার দৃশ্যে দেখুন, সেই ষাট লক্ষ বছর আগে একজন অর্ধমানবী মা তার সন্তানটিকে নিয়ে তৃণভূমিতে নেমে এসেছে। চারদিকে ভয়াল সংকট, দাঁতাল মাংশাসীতে ঘেরা পরিবেশ। সন্তানের বাবা বলে কেউ পাশে নাই। মা নামের এই অর্ধমানবীর কাছে সন্তানের বাবা বলে কেউ থাকতে পারে সেই ধারণাও অষ্পষ্ট। এইরকম ভয়ঙ্কর পরিবেশে খাদ্য সংগ্রহের ফাঁকেফাঁকে মা তার সন্তানটিকে বুকে আগলে রেখে অভয় দিচ্ছে , মুখ দিয়ে বোবা শব্দ উচ্চারণ করে করে সন্তানের সাথে সংযোগ রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা করছে। মা ও সন্তানের ইচ্ছে শক্তিতে লক্ষলক্ষ বছরের ব্যবধানে মানুষের ভকেল কড উন্নত হয়ে প্রথমে শব্দনির্ভর ক্লিক ল্যাঙ্গুয়েজ রপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে মানুষের কন্ঠ। এর পর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় মানুষের এত এত ভাষার জন্ম হয়েছে। 

হোমোসেপিয়ান সেপিয়ান আমরা। আমাদের জেনেটিক ইতিহাসটি বিবর্তন বিজ্ঞান সনাক্ত করতে পেরেছে। আজ থেকে দুইলক্ষ বছর আগে পূর্ব আফ্রিকার গ্রেট রিফটভ্যালির কোথাও হান্টারগেদারার পরিবারের একজন জেনেটিক ঈভের কথা জেনেছি আমরা, পৃথিবীবাসী আজকের আটশ কোটী মানুষের আদি মাতা তিনি। মাইটোকন্ড্রিয়াল লিনিয়েজের ঈভ তিনি। মানবজাতির আদি মা। সেই আদি মাতা কেমন ভাষায় কথা বলতেন, কেমন শব্দ উচ্চারণ করতেন, নিশ্চয় তিনি বিচ্ছিন্ন শব্দনির্ভর ক্লিক ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলতেন তার সন্তানদের সাথে। আদি মাতার উচ্চারিত কোনো শব্দ আজ আমাদের ভাষাগুলোর ভেতর আছে কিনা আমরা জানিনা। তবে ধারণা করা যায়, কালাহারি মরু অঞ্চলের সূর্য বুশনৃগোষ্টী, আন্দামান নিকোবরের আদিম সংস্কৃতির হান্টার গেদারার আদিবাসী বা আমাজনের কোনো কোনো গোত্রের মধ্যে আজও হয়তো আদিমাতার উচ্চারিত কোনো শব্দ বা শব্দের অপভংশ আছে। মানব সন্তান মায়ের গর্ভে থাকতেই মায়ের কন্ঠের সাথে পরিচিত হয়, সে মায়ের কন্ঠ সনাক্ত করতে পারে। অতএব মায়ের ভাষা কথাটা ফেলনা নয়, এর তাছির রয়েছে।

একজন বাইবেলিক প্রথম মানবের গল্প আমরা শুনেছি কতকাল ধরে। আমরা নাকি বিনিআদম। ছয় হাজার বছর আগের এক অলিক আদমের কথা জেনে আসছি। কিন্তু আজ ওয়াই ক্রমোজম লিনিয়েজের একজন আদিম পিতাকে সনাক্ত করতে পেরেছে আধুনিক জীববিজ্ঞান। ডিএনএ তথ্য বা জেনেটিক বিজ্ঞানের কল্যানে আজ আমরা জানি যে, দুইলক্ষ আশি হাজার বছর আগে মানবজাতির এই আদি পিতা বাস করতেন পশ্চিম আফিকায় মানবজাতির কোনো এক আদিম ভিটায় বা গুহায়। তাহলে কথিত আদম তত্ত্ব ঝরঝরে আর বাসি হয় গেছে মানুষের জ্ঞানের পরিধির কাছে আজ।

আরও আরও বিষ্ময় রয়েছে। এক দশক আগে জানা গেছে আজকের পৃথিবীর মানবজাতি আমরা কেবল হোমোসেপিয়ান সেপিয়ান নয়, আমাদের জেনেটিক রেলগাড়িতে প্রেমবশে চড়ে বসেছে অন্য অন্য মানব প্রজাতি নিয়ান্ডার্তাল , দেনিসোবানদের জিন। তিরিশ হাজার বছ্র আগে আমাদের প্রজাতির সাথে সেইসব প্রজাতির রোমীয় জুলিয়েটরা মিলিত হয়েছে। আজ আমরা এও জেনেছি যে, নিয়ান্ডার্তাল মানবদের ভকেল কড উন্নত ছিল, তারা কথা বলতে পারতো। তবে একথা জানিনা, নিয়ান্ডার্তাদের ভাষার কোনো শব্দ বা অপভংশ আজকেরে চার হাজার ভাষার অলিন্দে কোথাও লুকিয়ে আছে কিনা। প্রতিদিন কোনোনা কোনো ভাষা মরে যাচ্ছে। অতি সাম্প্রতিক কালে অর্থাদ কোবিড গবেষণায় একদল বিজ্ঞানী সনাক্ত করেছেন যে, বাংলাদেশের চৌষষ্টি ভাগ জনসংখ্যা নিয়ান্ডার্তাল ও দেনিসোভান মানব প্রজাতির জিন বহন করছে। এটা কি যথেষ্ট অবাক করে দেবার মত বিষ্ময় নয়? আমাদের জিনপুলের অলিন্দে বিরাজ করছে ত্রিশ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অন্যসব মানব প্রজাতির জিন। আমরা ঠিক জানিনা সেইসব হারিয়ে যাওয়া মানব প্রজাতির ভাষার কোনো শব্দ হাজার হাজার বছর মরু সাইমুমের তোড়ে ভাসতে ভাসতে ধূলিকণা হয়ে আমাদের বাংলা ভাষার কোথাও রয়েছে কিনা।

এক সময় আমরা জানতাম, বাংলা নাকি সংস্কৃত ভাষার দুহিতা। কিন্তু এখন আমরা জানি এই তথ্য ঠিক নয়। প্রাচীন অঙ্গ বঙ্গ হরিকেল মগধের প্রান্তিক মানুষের মুখের বুলি যা মাগধি প্রাকৃত ও পালি প্রাকৃতের সাথে সংস্কৃত শব্দের মীথষ্ক্রিয়া বা বিবাহবন্ধনে বাংলা ভাষার জন্ম। ভাষা নাব্য নদীর মত। হাজার বছর আগের প্রাচীন বাংলা চর্যাপদ আজকের বাংগালির কাছে বিভ্রমের মত লাগবে।তারপর শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের ভাষা কিছু পরিমার্জিত মনে হবে আমাদের কাছে। এর পর বৈষ্ণব পদাবলী ও মঙ্গল কাব্যের যুগ পেরিয়ে আজকের বাংলা এতদূর এসেছে। 

একুশ আমাদের আবেগরংগিন একটা দিন। এই দিনে চারিদিকে হাহাকার শোনা যায়, বাংলা হারিয়ে যাচ্ছে! বাংলা বাঁচাও। ভাবনার কিছু দেখছিনা। বিশ্বে তিরিশ কোটী নৃতাত্ত্বিক বাংগালির ভাষা বাংলা। সমস্ত প্রান্তিক অঞ্চলের শব্দগুলো মিলিয়ে বাংলা ভাষার শব্দভান্ডার বারো লক্ষ। ঢাকা বা কলিকাতার বাংলা কেবল বাংলা নয়। নোয়াখালি বরিশালের ভাষা কত মধুবর্ষী শ্রুতিময়, সকল প্রান্তিক অঞ্চলের ভাষাই।বিশাল শক্তিমত্তা দিয়েছে বাংলা ভাষাকে। বারোলক্ষ শব্দের বিশাল সৈনিকবাহিনী আমদের। মাত্র দুই লক্ষ শব্দবাহিনী নিয়ে আজ ইংরেজী সারা দুনিয়া অংগুলি হেলনে শাসন করছে। বাংলা ভাষায় মনিষা আর জ্ঞানবিজ্ঞান ধারণ করুন। কেবল নিজের পাড়ায় মাস্তানি করলে চলবে কেন? সারা ভারতে হিন্দি মাস্তানি করছে। বাংলা করছে নিজের পাড়ায় অন্যসব নৃজাতিগোষ্ঠীর উপর। কারও মাতৃভাষা আর হারাবেনা, কিছুদিনের মধ্যেই ছোট্ট একটা যন্ত্রডিভাইস চলে আসবে। কানে লাগিয়ে রাখবেন, কথক যে ভাষায়ই কথা বলুক তা অনুদিত হয়ে আপনার মায়ের ভাষায় আপনার কানে মধুবর্ষণ করে দেবে। আপনার ভাষাটিও শ্রোতার আপন ভাষায় অনুদিত হয়ে তার কানে পৌঁছে দেবে। এটা কল্পনা বা স্বপ্নে পাওয়া কথা নয়। সে দিন বেশি দূরে নয়।

ইদানিং শোনা যাচ্ছে সংস্কৃত ও হিব্রু নাকি সবচে কম্পিউটারবান্ধব ভাষা। সংস্কৃত পরিমার্জিত ও সংস্কার করে বানানো ভাষা। বৈদ্যিক দেববাণী লিপিবদ্ধ করার জন্য এটা গ্রথিত করা হয়। বাংলা ভাষায় রয়েছে সিংহভাগ শব্দ সংস্কৃতজাত। অতএব বাংলার সম্ভাবনা উজ্জল। বাংলা বারোটি ভাষাগোষ্ঠীর অন্যতম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার সদস্য। বিশ্বের সেরা মনিষা ও জ্ঞানভান্ডার ধারণ করার শক্তি বাংলা ভাষার রয়েছে। বাংলা ভাষার শব্দগুলোর রয়েছে ক্রিয়াভিত্তিক শব্দার্থ বিধি। এর মানে, শব্দটি বাক্যের ভিতরে কি ধরণের ক্রিয়া সম্পাদন করছে তারই আলোকে শব্দের অর্থ নির্ধারণ করার রীতি।এখন ভাষাকে অতি সরল করতে গিয়ে বাংলা ভাষার আসল সম্পদ হারিয়ে ফেলছি আমরা।

আরেকটা প্রবণতা ভাষার খুব ক্ষতি করছে। ভাষাকে বৃত্তাবদ্ধ করার চিন্তা। মীর মোশাররফ হোসেনের নাম সকল বাংগালিই জানেন তাঁর বিষাদ সিন্দু নামের মায়াময় সোনার অক্ষরে লেখা বইটির জন্য।এখানে যারা আছেন অনেকেই হয়তো পড়ে থাকবেন। মীর মোশাররফ হোসেন ছিলেন বনেদি আশরাফ মুসলমান। তাঁরই অটোবায়োগ্রাফী থেকে কিছু নাম টুকে এনেছি আপনাদের শোনাবো বলে। মীর মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী'র ডাকনাম ছিল কালী। ছেলেদের নাম, সত্যবান, রণজিৎ, ধর্মরাজ। কন্যাদের নাম সতি, কোকিলা, সুমতি। তাঁর সময়ে মুসলমাদের নাম , রাম, শাম,নন্দ,গৌর,কালাচাঁদ,লক্ষণ ইত্যাদি রাখার চল ছিল বলে তিনি লিখেছেন।অতএব, কোনো ভাষার কোনো শব্দই কলুষিত নয়,তারা নির্দোষ।শব্দের কোনো ধর্ম নাই,বিকার নাই।

আপনাদের কালক্ষেপন করছিনা। আপনারা ভাল থাকুন। বাংলাসহ সকল মাতৃভাষা ভাল থাকুক, বেঁচে থাকুক। আবারও ধন্যবাদ সকলকে।

কবি মহসীন বখত
অটোয়া, কানাডা