অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
দু'টি কবিতা - জাকি ফারুকী

হুইসেল অব দ্যা উইন্ডস্

মার সেজ নাতনী সুভি
কেবল তিন পেরিয়ে এসেছে বয়সের নদীতে,
সেদিন টমিহান্নার পোকোনো পর্বতে দেখে এলো
তুষারপাত, আর প্রকৃতির রূপান্তর।
এমনি ভালোবেসে ফেলেছিলো ওর চোখ দেখে 
বুঝতে পেরেছিলাম।
একাই পর্বতের ঢালে তুষারে
হেঁটে বেড়িয়েছে,
কী সাহস !
আজ রাতে 
সারাদিন বাতাসেরা ডেকে ডেকে
যখন ক্লান্ত হয়ে, নিঃশ্বাস নিচ্ছিলো হুহু করে,
ওকে বললাম,
বাতাসের শব্দ শোনো,
যেমন করে জলের কলকল শব্দে বিমোহিত হয়েছিলে।
ও বলে, “দাদা, হুইসেল অব দ্যা উইন্ডস্ “

কান পেতে শোনে,
তুষারপাতের শিরশির শব্দহীন প্রকৃতির 
সাদা মোড়কে ছেয়ে যাওয়া,
পর্বতের খাঁজের জলধারার কলকল শব্দ বয়ে চলার
আর বাতাসের শনশন,
শব্দ সমস্ত রাত জুড়ে।

প্রকৃতির কাছে অমন চারুকলার পাঠ নিয়ে,
বড় হতে হতে,
একদিন দৃশ্যমান এই আমি, হারাবো
কোন ঝড়ের মেঘে,
তখন ওকে কে যে বলে দেবে,
এখন বসন্তকাল,
দেখো এমন সকাল কিশলয়ে 
ভরে গেছে সকল দিক,
কি সুন্দর
আশ্চর্য সুন্দর,

সুভি ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস টেনে নেয়,
এখনো বেঁচে থাকবার অনেক সময় বাকী।

রাত আড়াইটা বাজে

মাঝে মধ্যে এমন হয়,
কেন হয় জানিনা।
কথা বলতে বলতে বলে ফেলি,
আমার মৃত্যু হবে ঘুমের মধ্যে।
যে শুনবে সেই বলে,দারুন তো,
ব্যথাহীন মৃত্যু হবে তাহলে ! খুবই আনন্দের।

তারপর থেকে মনের মধ্যে সব কথারা এসে ভিড় করতে থাকে। জীবনের অনেক কথা তো 
হয়নি বলা এখনো ?
আজ রাতে মৃত্যু যদি এসে বলে চলো,
আমি কি নিঃসঙ্কোচে তাঁর পিছনে অনুগামী হবো !

মৃত্যু কি কথা বলে কখনো, নাকি খুব নিঃশব্দে
এসে চলে যায় !
কি সব খেয়ালী কথাবার্তা,খুব অবাক হই
খুবই।

জাকি ফারুকী
১৫/৩/২৩
টিনটনফলস