অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
দুইটি কবিতা - নির্মল কুমার প্রধান

রোদ বেলা
তিরতির নদী জলে ছুপছুপ দাঁড় ফেলে 
চলে একা আহ্লাদী উজানের স্রোত ঠেলে। 
রোদ রোদ সময়ের নিঝ্ঝুম্ নদীতট ---
আঁকাবাঁকা ছোট নদী,সবজে-নীলের পট।
ঘুমঘুম প্রহরের বুক ভেঙে নদী- নায়
পথের পথিক যেন চলে কোন দূর গাঁয়। 

ঝিরঝির মৃদু বায় ঝরে পাতা,দোলে ফুল
সকরুণ ঘুঘু ডাকে ,সুর তোলে অলিকুল। 
শ্বেত শ্বেত গাঙচিল জল ছুঁয়ে ডাক পাড়ে 
ডাহুকেরা খেলা করে চুপচুপ ঝোপঝাড়ে। 
ঢেউ ঢেউ নদীটা যে কুলকুল ভোলে আজ
ডুবডুব প্রকৃতিটা পরেছে মোহিনী সাজ।

মাতৃছায়া
বৃক্ষ ছায়া সুশীতল ,স্নিগ্ধতায় ভরা---
কাঠফাটা রোদে ,দাবদাহ তাপে মাথা গোঁজার
হাঁফ ছেড়ে বাঁচার এক ঠিকানা 
হাওয়া দোলায় পর্ণ সমাজের মর্মর শব্দ ---
বুঝি কোন ঘুমপাড়ানি গান , 
দীর্ঘ পথ চলায় জিরোবার চিলতে আয়োজন। 

মাতৃছায়া অধিকতর স্নিগ্ধময় ,ক্লান্তিহরা , 
প্রাণ জুড়ানোর স্বর্গীয় আবাস
মাতৃ শ্বাস- দৃষ্টি -স্পর্শ কোন রূপনগরের , 
মিষ্টি ভাষা ,হাসি কোন কল্প লোকের 
আদর-আবদার -সান্ত্বনা কোন স্পর্শমণির
অমিয় স্রোত নামে প্রতি অনুভব-উপলব্ধিতে।

সে ছায়ায় অঙ্কুরিত হয়
মহীরুহ হবার স্বপ্ন ,মুকুলিত হয় সদ্-চরিত্র
দ্বিপত্রে বেড়ে ওঠে আশা-আকাঙ্ক্ষা
মানুষ হবার মন্ত্রধ্বনি শুনি সে ছায়াতলে , 
ভালোবাসার বাৎসল্য সুরের বাঁশি 
বেজে যায় স্নেহ রঙীন মমতাময়ী নীড়ে।

নির্মল কুমার 
দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ