অটোয়া, রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
মূল্যবান মূল্যবোধ - সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

   মার বা আমাদের সমাজে বিচিত্র ন্যায়নীতি এবং শিক্ষার জন্য চাই একনিষ্ঠ মূল্যবোধ। আর সেই মূল্যবোধ  যে বড়ই মূল্যবান। 
   আমাদের জ্ঞান হওয়া অবধি আমরা মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারিনি। যদিও তার জন্য প্রয়োজনীয় মূল্যবান শিক্ষারও দরকার। আর সেই শিক্ষা দিতে পারেন কেবল  আমাদের মা- বাবাই। আমরা মূল্যবোধের অভাব অনটনের কারণে "ক্ষমা করে দিও" বলি। কিন্তু কেন বললাম বুঝে দেখিনা। অর্থাৎ মূল্যবোধের অভাব।
   সংসারের যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে যাওয়া এক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি বা সম্মান পাওয়ার জন্য দরকার বাবা মায়ের একমাত্র সুশিক্ষা।
   বাবা যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত সেটা তার ব্যক্তিগত সামগ্রী নয়। তিনি  সন্তানের জন্য আঁতিপাঁতি করে  সঞ্চয় করে  মূল্যবোধের শিক্ষা দান করেন।। আমরা যারা আহাম্মুক সেটা বুঝতে পেরেও বুঝবো না এমন---  ভাব করি।
   স্ত্রী মানে বিবাহিতা মহিলার স্বামী তুমি। নিশ্চয়ই বুঝবে তার জন্যে ঘেণ্ণা করে কোনো কিছু না করা। কিন্তু  তা'বলে মাকে অবহেলা বা অপগ্রাহ্য  করে নয় নিশ্চয়ই।এটা হলেই মূল্যবোধের অভাব বোঝায়। 
   ভাই বোন দাদা বৌদি আত্মীয় পরিজন প্রত্যেকে তোমাকে  সারাক্ষণ নিরীক্ষণ করছে । তুমি সাবধানে কথা বলতে শেখো। তোমার মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে কিনা নিজেকেই যাচাই করো। দেখো যেন সমুদ্রের পানি ভেবে ফেলে দিও না।যে ঘেরাটোপে আমরা দিন কাটাচ্ছি সেটাও সংসারের যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা  শেখাতে বদ্ধপরিকর। আমাদের দেশে অনেক গবেষণাও হয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে প্রকৃত শান্তির জন্য প্রকৃত মা বাবার শিক্ষা বা ন্যায় অন্যায় বোধের সৃষ্টিই দায়ী ।  বাবা মা যত আগলে রাখতে দুহাত ভরে সময় দেন সেটাই ঘেরাটোপ । সেই ঘেরাটোপে বাঁচলে এখনকার মতো পয়সার বিনিময়ে অর্জিত সুখ হয়তো নাও মিলতে পারে। কিন্তু বারবার ফিরে আসে বাঁচার আস্তরণে বাঁচতে চাওয়া। মূল্যবোধের পারফেকশনিস্ট হয়ে ওঠা। সেটা আমাদের জ্ঞান বা সম্পদ, বা বলা যায় স্থাবর মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে বেঁচে ফেরা।।
   আমরা ভবিষ্যতে যাতে বহুদূর যেতে পারি তার জন্য বাবার পরিশ্রম আর মায়ের মুখের সামনে থাকা অবস্থায় শ্রীভগবানের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এটাই মূল্যবোধ, একরকম সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
   আমরা তাকে মূল্য‌‌‌ না দিয়ে আদরের শীৎকার করে যে অবাঞ্ছিত কাজ করি তা এককথায় অসাধারণ না বলে বলা উচিত অবক্ষয়ের কারণে নিজেকে সামলে রাখতে না পারা।।
   ভাবিনি যেটা পেয়েছি বা পাচ্ছি সেটাও মূল্যবোধের কারণেই। শিক্ষিত বাবা মা পাওয়া বড় গর্বের। সেটা যদি পেয়ে থাকো তবে কেন অহেতুক অকারণ ব্যয় করছো তোমার ন্যায়নীতি  এবং সাংসারিক জীবন। কেন!??!
  সুযোগ বারবার আসবে না। আহ্বান করলেও না। অতএব সেই ঘেরাটোপে বাঁচলে আখেরে লাভ হবেই হবে। তুমি দেখছো কেউ বাবা মাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে আবার কেউ লাথি মারছে। যে যা খুশি করুক তুমি শুধু মূল্যবোধে সজাগ থেকে কাজ করে যাও।  একটা অপোজিট সেক্স হয়তো তোমাকে প্রতিনিয়ত জ্বলে উঠে চঞ্চল করছে। তুমি ওটা মা বাবার জন্ম দেয়াটাকে দোষ দিও না। মা বাবা তোমার স্বার্থ রক্ষায় যেটুকু সামর্থ অনুযায়ী করেছেন সেটা তোমার উপরি পাওনা ভেবে ফেলে দিও না। তুমি যদি কাউকে ভালোবাসো--তার জন্য বাবা মা কেন দায়ী! সেই দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁরা কিছু না করলেও তুমি করো। তবেই  তো তুমি মূল্যবোধের শিক্ষা দান করতে পারবে।।
চলবে... 

সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত