অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
তপন কুমার বৈরাগ্য এর একটি ছড়া ও দুটি কবিতা

বুড়োবুড়ি
বুড়োবুড়ি আনন্দেতে
থাকে চালা ঘরে,
হাসিমুখে বসত করে
কান্না নাহি ঝরে।

খুশি ভরা হৃদয় নিয়ে
থাকে বুড়োবুড়ি,
খেতে ওরা ভালোবাসে
ঘরের ভাজা মুড়ি।

চালে আছে কাঁকড় ভরা
বাছতে থাকে বুড়ো,
মুরগি এসে চাইলো খেতে
কিছু ক্ষুদের গুঁড়ো।

বুড়ো তাকে দিলো খেতে
বুড়ি দিলো ননী,
উঠানেতে উঠলো তখন
ককর ককর ধ্বনি।

বুড়োবুড়ি নাচতে থাকে
এমন শব্দ শুনে,
পরের দিনে চলে গেল
মোরগ নিয়ে পুণে।

প্রতিবন্ধী শিশু
রা জেনো এই পৃথিবীর
মহান প্রেমের যীশু,
থাকুক সবার স্নেহের ছায়ায়
প্রতিবন্ধী শিশু।

সুযোগ পেলে ওরা ছোটে
এই পৃথিবীর ডাকে,
হিমালয়ের চূড়ায় ওঠে
বনের ছবি আঁকে।

অবহেলা থাকবে কেন
আজকে ওদের প্রতি,
ওরা হেলেন সুধাচন্দ্রন
যারা জগৎ জ্যোতি।

স্নেহ প্রীতি মমতাতে
ওরা ওঠে দুলে,
সত্যিকারের মানুষ হয়ে
ভরায় ফলে ফুলে।

হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা
আজকে ওরা পেলে,
আগামীতে দেশের তরে
জীবন দেবে ঢেলে।

সবার উপরে মানবিকতা
মন একটা পৃথিবী খুঁজি
যেখানে দেখব না সংকীর্ণ হৃদয়
সত্যরক্ষায় আবার একটা সত্য যুগ।
এমন একটা পৃথিবীর সন্ধান দাও
যেখানে নিত্য হয় মানবিকতার অনুশীলন
মনুষ্যত্বপূর্ণ অন্তঃকরণে
অমানুষের মৃত্যু।

এমন একটা পৃথিবী কোথায় আছে
যেখানে বিশ্বাস
দ্বারে দ্বারে সুন্দর হয়ে
অবিশ্বাসকে করবে শেষ।
এমন একটা পৃথিবী চাই না
যেখানে প্রবঞ্চবচন প্রপঞ্চিত হয়ে
প্রেম প্রীতি মমতার অপমৃত্যু ঘটাবে।

পৃথিবীতে ভালোবাসার বড্ড অভাব
তাই তো রবীন্দ্রনাথের
হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী।
মানুষের মনে
হাসির হাসনুহানা ফোটে না।

আবার কবে পাবো
অক্ষয় ফিনিক্সসম
প্রেম প্রীতি ভালোবাসা বিশ্বাস;
আর সবার উপরে মানবিকতা।

তপন কুমার বৈরাগ্য
সাহাজাদপুর
নাদনঘাট, পূর্ববর্ধমান
ভারত