অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ভ্রান্তি - জীবন সরখেল

তোমাদের এতো বুদ্ধি, লোকবল ও টাকাপয়সা;
তাও যে এরকম ভুল কীভাবে করো?
বিজ্ঞানের এতো উন্নতি হয়েছে;
তাকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারোনি!
অযাচিত পরামর্শ দেওয়ার নামে
শ্লেষোক্তি মিশ্রিত এমন বেশ কিছু প্রশ্ন মানুষ যখন তখন ছুঁড়ে দেন?
অন্তরাত্মায় তা কিন্তু ভীষনভাবে আঘাত করে!
ঠাণ্ডা মাথায় এমন জঘন্যতম অপরাধমূলক কথাও তাঁরা প্রকাশ্যেই কতো সহজভাবে বলেন! 
ভাবলেই যে শিউরে উঠতে হয়!
কুসংস্কারের শিকড় তাহলে সমাজের কতো গভীরে পৌঁছেছে!
কী তার পরিধি আর বিস্তৃতি!
অথচ ভারতীয় উপমহাদেশেই তো কতশত মহামানব ও সমাজসংস্কারক জন্মেছেন;
তা সত্ত্বেও এমন হীন চিন্তা চেতনাকে একটা বিরাট অংশের মানুষ আজও কীভাবে লালন করে চলেছেন?
কীভাবে ভ্রূণহত্যার মতো মহাপাপাচারকেও আজও তাঁরা প্রশ্রয় দেন!
তবে এই বীজ ইউরোপ, আমেরিকা বা ওশিয়ানিয়া মহাদেশের অন্তর্গত সুসভ্য দেশগুলিতে কিন্তু মোটেও থাবা বসাতে পারেনি।
ত্রয়োবিংশ শতাব্দীতেও এমন বদ্ধমূল অন্ধ ধ্যান ধারণাকে কিন্তু আমাদের জীবন থেকে দ্রুত বর্জন করতেই হবে।
এক অবক্ষয়িত মানব সভ্যতার কালো অধ্যায়কে 
কোনোভাবেই আমরা আর বহন করতে চাই না।

জীবন সরখেল
বাঁকুড়া, ভারত