অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
তবু এসো - তামজীদ আহমেদ

ধ্য দুপুরে আগুনরঙা সূর্যের সাথে তোমার দেখা হয়
চন্দ্রিমা রাতে বিরহমতন কোনো বাঁশিতেও সুর উঠে
তোমার দুঃখের পালক খসে পড়ার সময় তবুও আসে না
তোমার সাথে সবার দেখা হয়, আমারই দেখা হয় না

বুকের নিভৃতে দুঃখসমগ্রে আত্মহননের পথ এঁকে রেখে
বিস্মৃত হতে চাও কোনো-কোনো দিন তোমার ওই বুকে প্রেম ছিল
অনেক সবুজে সবুজ ছিল, গহীন অরণ্য ছিল
বিষাদ তবুও কী সঙ্গোপনে অক্ষতই ছিল?

--

এই রাত্রি থেকে তবে শোনা গেলো না আরও কিছু সুর
খোয়া গেছে যে তোমার নিরুপায় বিলাস দুইয়ের ভেতরে এক হয়ে
কিছু সুর ভেসে তবু আসে হৃদয়ের কাছে 

জেনেছি তার কাছেই- সব কেন'র উত্তর খুঁজতে খুঁজতে জীবন যায় যাপনের মাত্রাবোধে  
পায় এক দুঃখদ নদী যার জলে ভাসা-ই যে নিয়তি!

যে স্বগত স্বরে বিষাদের আবর্তন আলগা করে রাখে  শূন্যতাভরা রাত্রির শিয়রে বিপুল উন্মাদনার কাছে !
জেগে উঠে জাগাতে গেলেই জীবনের প্রত্যাগত প্রত্যাশার বারুদ জ্বলে!

---

একদিন খুব দুঃখ নিয়ে সমুদ্রের কাছে যাবো।
তুমি জানবেও না। 
একদিন আকাশ দেখবো জলের কাছে।
খুব কাছে।

কতটা ভারী ভারী দুঃখ 
আর আকাশ ছেড়ে নামে বিষণ্ণতার মন্ত্রসমূহে
ভুল করে আসে বৃষ্টি।
জ্যোস্না বিহারে পাহাড়ের নির্জলা নির্জনতা।
চুপচাপ থেকে যাবো।
ভাববো- কোথায় বেজেছে ব্যথাতুর সময় পেরিয়ে তোমারই নাম!
বারবার!

----

ভুল করে হলেও এসো। 
এসো বৃষ্টি ঝরঝরে দিনেও।
এসো প্রতীক্ষার বয়স ফেলে । 
নূপুরের শব্দে ব্যথাতুর মুক সময় পেরিয়ে এসো কোনো কোনো দিন । 
হয়ো সোনালী হরিণ যে চির-অধরা।  

অধরাই হয়ে এসো তবু  হে অধরা মাধুরী !
এসো এক রঙিন প্রজাপতির ডানায় 
যেখানে সেই ভরদুপুর খেলে যায়। 
মিলনব্যাকুল যদিওবা সময়ের ঘোড়া 
তবুও তার পরমায়ুর বাতাসে লুপ্তপ্রায় আমাকে স্পর্শ করতেই এসো । 

প্রলোভিত নয় যে সুর 
মোহনসুরেও নয় যে গান 
গেয়ে যেয়ো ধীরে ধীরে সেই গান 
বাসনাহীন বসন্তের স্পর্ধায় ।
আমি শুনবো একান্ত জানালা খুলে। এসো।
ভুল করে হলেও এসো। 
এসো স্বপ্নের আয়োজনে 
বিমুগ্ধ গান বেধে সুর দিও স্বপ্নে।
তবু এসো।

তামজীদ আহমেদ
বাংলাদেশ