সাধের কুঁড়েঘর - টুম্পা দে দাস
বেশ কিছুদিন ধরে ছোট্ট কুঁড়েঘরটা ভীষণ অগোছাল।
যতই গুছিয়ে রাখি, এক মুহূর্তেই হচ্ছে এলোমেলো !
গোছাতে গোছাতে আর পারছি না, হাঁপিয়ে উঠছি।
মাঝে মধ্যেই মনে হচ্ছে কুঁড়েঘরটা কি শুধু আমার একার ?
আর কেউ কি এতে উপনিবেশ গড়ে নি ?
ঔপনিবেশিক কাল পত্তনের ইতিহাস, গান, গল্প, আরও কত কি ভেজা মাটির গন্ধ হয়ে কুঁড়েঘরটির দেওয়ালকে জড়িয়ে আছে।
সে সুবাসে আমি বিভোর হয়ে কাটাই কতো বিনিদ্র রজনী,
লিপিকারের মতো সবটুকুকে সযত্নে সাজিয়ে রাখি ঐ কুলুঙ্গিটায়।
কিন্তু কোনও একদিন -
মলিনার বাড়ি থেকে একখানা ইঁদুর হঠাৎই আমাদের কুঁড়েঘরটিতে দিয়েছে হানা।
ধারালো দন্ত- নখর দিয়ে তছনছ করে দিচ্ছে আমার সাধের সাজানো কুলঙ্গিটাকে।
পোষ্য হিসেবে ইঁদুর তো আমি চাই নি কোন কালে, চেয়েছি পদ্মাবতীর মতো একখানা শুকপাখি।
তবুও কুঁড়েঘরটাকে নিয়ম করে সকাল বিকেল সাজাই- গোছাই।
জ্বালাই আশার পিদিম।
কিন্তু আর কতকাল ...
ক্লান্তি ঘিরে আসছে মনে।
ছিটেফোঁটাও কি দায় নেই শাসক তোমার ? একবারও কি তোমার মন চায় নি কুঁড়েঘরটাকে সংরক্ষণ করতে?
সব দায় কি শুধুই আমার একার?
মোহন বাঁশি ছেড়ে হয়ে উঠবে স্বৈরাচারী শাসক?
টুম্পা দে দাস
বালুরঘাট,
দক্ষিণ দিনাজপুর
-
ছড়া ও কবিতা
-
12-10-2023
-
-