অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শুভ জিত দত্তের কয়েকটি কবিতা

১) জন্ম জন্মের বন্ধন
খনো দেখা হয়নি খুব কাছ থেকে তাকে
তার মুখ দেখেছি কোন এক ভিড়ের মাঝে
একটা বার তার কন্ঠ শুনেছি কোথায় যেন
সেই কন্ঠের প্রতিধ্বনি ভেসে আসে কানে

মুখ যেন তার সমুদ্র ঢেউ এর মতো উত্তাল
ঢেউ এর স্রোতে তাই নিজেকে মেলে ধরে
চোখ যেন আকাশ নীলা সাদা পেজা মেঘ
সেখানে সুযোগ পেলেই তারা ভীর জমায়

আমার কল্পনার দুয়ারে এখন শুধু সেই তার
অবাধ বিচরণ রাত দিনের তফাৎ নেই আর
ঘুম চলে গেছে নিরুদ্দেশে মনের অনুভূতি
গুলো আমার অজান্তে তোমাকে হারায়

এলোমেলো স্বপ্নের মধ্যে তুমি আবছায়া
ভাসা ভাসা চোখে এখনো দেখি তাকে
কোন জন্মের অকৃত্রিম বন্ধন ছিন্ন করে
হঠাৎ দেখাই এতো চেনা লাগে তোমাকে

আবার কবে চলতি পথে দেখা হবে তোমার
ঠিক সেদিনই বলবো আমার আজন্ম লালিত
কথা যা এতদিন লুকায়িত ছিল একজনের
জন্য যে এতো অপেক্ষা সেদিন বুঝবে তুমি।।

২) সমাধিস্থ স্বপ্ন
লম এখন লিখতে লিখতে থেমে যায়
চোখের সামনে কল্পনা গুলো ভাসে না
নতুন কোনো স্বপ্ন হঠাৎ এসে চলে যায়
সময় ঘড়ির কাঁটার মাঝে বাঁধা পড়ে

রাত‌ জেগে লেখা শেষ করার তারণা
মনের মধ্যে এখন আর জাগে না
নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা
বড্ড বেশি তাড়া করে বেড়ায়

অজস্র স্বপ্ন গুলো আজ প্রতিনিয়ত
সমাধিস্থ হচ্ছে মনের নিস্তব্ধ শ্মশানে 
কান্নার রোল আর আহাজারি এখন
সীমাবদ্ধ আছে শুধু আমার মাঝেই

যেখানে না বলা কথা গুলো ক্রমেই 
হারিয়ে যেতে থাকে গহীন অরণ্যে
স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে এক পাহাড় যন্ত্রনা
নিজের মাঝে আলিঙ্গন করে নেওয়া

একটা সময় এসে নিজেকে মৃত্যুর
কোলে সঁপে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি
নিতে হয় সব আশার বিসর্জন দিয়ে
এখানে একটা অধ্যায় এর সমাপ্তি।।

৩) হতাশার বিদায়
খন ভালো লাগা গুলো হারিয়ে যাবে
নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ মনে হবে।
নিজের উপর যখন প্রচন্ড রকম ভাবে
রাগ ক্ষোভ আর অভিমান হবে।

হতাশা যখন নিজেকে গ্রাস করে নেবে
তখন সেই মানুষ কে খুঁজে নিও,
নিঃসঙ্গতার মাঝেও সে ঠিক সঙ্গ দিয়ে
সারা দিনের কষ্ট ভুলিয়ে দেবে।

এমন মানুষ পেলে দুঃখ নেবে কেড়ে,
নিদারুণ যন্ত্রনা তখন যাবে ভুলে।
দুজনের না বলা জমানো শত কথার
ভীরে সুযোগ পেলে হেসো প্রাণ খুলে।

দুঃখ আর যন্ত্রনা কে ছুটি দিতেই পারো
সময় হলো বিদায় নিক এবার তারা
অনেকে কষ্ট হয়েছে সয্য করা ,আর না
খুব ভালো আছি এখন তাকে নিয়ে।।

শুভ জিত দত্ত 
মহেশপুর, ঝিনাইদহ
বাংলাদেশ