অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
নীল নকশা - জান্নাতুল নাইম

হাই বিদেশী কী সুন্দর তোমার শরীরের গড়ন।
বিশ্ব নাগরিক দেখছে, একরকম সবই করে নিয়েছে তা বরণ। ধবধবে দুধ সাদা কি চমৎকার তোমার শরীরের চামড়া গো! নীল শিরাগুলো সুস্পষ্ট, যেন চামড়ার নীচে চলচিত্র অথবা কোনো পাইপ শো। 

দৃশ্যমান নীলরেখা তোমার হাতের ও পায়ের, গলার স্বরস্তরে। যেন অসংখ্য লাল তরলে ভরা নীল নকশার প্লাস্টিক পাইপ!

তোমার মুগ্ধকর চিকন সরু নাক, সুউচ্চ আকার,
মুক্ত পোক্ত দাঁতের গঠন, সচারুভাব, সুবিন্যাস্ত উপরে নীচে বত্রিশটা। চোখের দীর্ধকালো রেখা, কোনো বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর যেন আঁকা। কি অপূর্ব রূপের সূক্ষ্মতায় বোনা সবকিছু! নজর পড়া মাত্রই সহজে ভ্যাবলা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় এই গড়ন বরণে।
তবুও তুমি অস্থির, অশান্ত অকারণে।

তোমার মুগ্ধ চেহারার পিছনে কী অসাধারণ বোধের বৈপরীত্য। কী বুদ্ধির দাবা খেলা! কোট পাতা আছে সারাক্ষণই। ঘুঁটি চাল দেবার জন্য একটু চিন্তা তারের ছুঁতো মাত্র…! 
অস্পষ্ট ও মৃয়মাণ কী চমৎকার ঘুড়ির কাটাকাটি চলছে।
যেমনটা ঘটেছিল আটাত্তর বছর আগে উপমহাদেশে।
খন্ড বিখন্ড হয়েছিল উপ মহাদেশের উর্বর মাটি বর্তমান ফ্রাকিং পদ্ধতিতে গ্যাস উত্তোলনের মতোই অনেকটা।
দুই শত বছর ধরে নীল পাইপে ঘটেছিল লাল তরলের অত্যাচারী, নীল চাষাবাদ, কত কি…! তারপরও কেন এমন অশান্ত তুমি?

আজো করছ সেই নাটাই টেনে ঘুড়ি কাটিকাটি খেলা।
ধরণীর বৃহত্তম দেশ ও আরবের তেল মরুর মাটিতে।
এতোটাই শিক্ষিত করে তুলেছ তোমার উর্বর মজ্জাকে যে, মানবতার নামে অমানবিক বৈরীপনা!
সভ্যতার নামে এহেন অসভ্য উন্মুক্ত ব্যভিচার!
লজ্জার আভরণে নির্লজ্জ গোপনীয় ক্যাপিটালিজম! লুকানো যন্ত্রের পলিসি আর ডিফেন্স ম্যাকানিজম।
পৃথিবীর সব দেশের অনুনয় বিনয় তোয়াক্কা না করে গোঁয়ার্তুমি। তুমি নীল রক্তের নীল চোখের লোহিত কণার পরিবারের দাবীদার বটে! স্বেত রক্ত কণিকার মূল্যে বাঁচা মানুষ লোহিত কণার অভাবে রক্তশূণ্যতায় ভোগে।

জান্নাতুল নাইম
টরন্টো, কানাডা