অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
তপন কুমার বৈরাগ্যের কবিতা

১) মাতৃভাষা

মায়ের মুখের মধুর ভাষায়
রাঙায় জানি সবার প্রাণ,
ঝরনা সাগর বইছে বুকে
ভুলবো না তো শহীদ দান।

ভাষার প্রতি অমর্যাদা
দেখলে তো পাই মনে দুখ,
ভাবি যখন রফিক সালাম
চিত্ত জুড়ে আসে সুখ।

বর্ণমালার জীয়ন কাঠি
উপমা যার কোথাও নাই,
এই ভাষাতে জাগলে জাতি
সুখের স্বর্গ খুঁজে পাই।

বাংলা ভাষায় বললে কথা
ভরে ওঠে হৃদয় মন ,
সবুজ বরণ রূপের বাহার
মা যে সবার আপনজন।

ভাষার প্রতি থাক মমতা
তোলো প্রাণে নতুন সুর,
মাতৃভাষা সবার আশা
বিভেদ করে সবার দূর।

২) আবার যদি আসো ফিরে

বার যদি আসো ফিরে
বসবো গিয়ে নদীর তীরে
বাজবে মধুর বীণ,
ছিলাম আমি তোমার সনে
স্মৃতিগুলো পড়ে মনে
কাটতো সুখে দিন।

তুমি কোথায় চলে গেলে
আমায় ওগো একলা ফেলে
বাঁধলে নাহি ঘর,
ব্যথার বেদন উঠছে ফুলে
বসে আছি নদীর কূলে
করলে আমায় পর।

পুরানো সেই মধুর গীতি
হলো তাহা দুখের গীতি
পাচ্ছি মনে দুখ,
ভালোবাসা দললে পায়ে
ছিলে সেদিন সবুজ গাঁয়ে
দেখিনা ওই মুখ।

মুখে ছিলো মধুর বুলি
ছিঁড়ে গেল আশার ঝুলি
ভেঙে গেল মন,
কোথায় আছে প্রেমের পাখী
মেলে না আর সে তো আঁখি
কাটছে না  তো ক্ষণ।

তপন কুমার বৈরাগ্য
সাহাজাদপুর, নাদনঘাট
পূর্ববর্ধমান, ভারত