অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
নববর্ষ - অঞ্জলি দেনন্দী, মম

ববর্ষ।
আমাদের মনে ভক্তি ও হর্ষ।
দুটি বড় বড় মূর্তি আনলুম কিনে।
বৈশাখের প্রথম দিনে।
শ্রী গণেশ দেব ও শ্রী লক্ষ্মী দেবী।
আমরা তাঁদের শ্রী পদ সেবী।
ওঁরা আছেন সদরে - এক তলায়।
মালা পরালুম ওঁদের গলায়।
সবাই একসাথে সদর সাজালুম।
সকলে অনেক শাঁখও বাজালুম।
ধুমধাম করে পুজো হল, আড়ম্বরে।
সকলে পিকনিক করলুম, এরপরে।
ভাত, ডাল, আলুর দম, চাটনী।
মজায়, কাজ করে, হেসে হেসে হেসে,
গায়ে লাগলোই না খাটা খাটনি।
খেলুম সে খাবার ভালবেসে।
বিকালে ঘরে ঘরে ঘরে গিয়ে
দরবেশ আর ক্যালেন্ডার বিতরণ করলুম।
আনন্দে অন্তর ভরলুম।
সন্ধ্যে এলো এগিয়ে।
পুজারীকে দিয়ে আরতি করিয়ে নিয়ে,
আমরা অনুষ্ঠান করলুম।
কেউ বা গান ধরলুম।
কেউ আবৃত্তি, কেউ নাচ করল।
অনেকেই নাটকে উঠোন ভরল।
কেটে গেল রাত।
এলো প্রভাত।
পুজো হল আবার।
এবার সময় হল বিসর্জনে যাবার।
নদের জলে ভাসান করে এলুম।
যে যার বাড়ি ফিরে গেলুম।
মায়ের হাতের রান্না করা খাবার,
পরম তৃপ্তিতে খেলুম।
 পঞ্চাশ বছর বয়স আমার বাবার।
সেও খেলো আমার সঙ্গে।
নববর্ষের দিনে পরেছি নববস্ত্র অঙ্গে।
বাবাই কিনে দিয়েছিল, নিজে।
আহা, নববর্ষ, সুখের কি যে!

অঞ্জলি দেনন্দী, মম
নতুন দিল্লী
ভারত