মনে পড়ে আমার গ্রামকে - তপন কুমার বৈরাগ্য
মাঠের কোলে উঠতো দুলে স্নিগ্ধ শীতল বায়ু,
চারিদিকে সবুজ ফসল বাড়তো মনের আয়ু।
তৃণফুলের গন্ধে বিভোর পাখির গানে গানে,
মৌমাছিরা পড়তো ঢুলে সুর উঠিত প্রাণে।
পূর্ণিমারা খেলতো ফিরে বনের পথে নিতি,
হাসিমুখে উঠতো গেয়ে তাঁরা নানান গীতি।
সেখান দিয়ে জননী রোজ যেতেন নদীর তীরে,
নিত্য সেথা খড়ি আমার বইতো ধীরে ধীরে।
মুখর পায়ে সবুজ গাঁয়ে কাটতো সুখে বেলা,
সেদিনকার সেই সুখের জীবন যায় না আজো ফেলা।
রাখালছেলের চড়তো গরু সবুজ মাঠে মাঠে,
ছোট্ট শিশু সকালবেলায় মন বসাতো পাঠে।
শস্য শ্যামল গ্রামটি আমার গেছি বোধহয় ভুলে,
কতো তরী থাকতো বাঁধা খড়ি নদীর কূলে।
সযতনে শান্তি সুখের আঁকা সে সব ছবি,
পল্লীগ্রামে জন্মনিয়ে হলাম আমি কবি।
হেথায় পেলাম ছেলেবেলায় চলার মহান বাণী,
গ্রামের মানুষ সহজ সরল গ্রামটি আমার রাণী।
জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবাই সমান ছিলাম,
সেই গ্রামের ভালোবাসা বিলিয়ে আজ দিলাম।
তপন কুমার বৈরাগ্য
সাহাজাদপুর, নাদনঘাট
পূর্ববর্ধমান, ভারত
-
ছড়া ও কবিতা
-
25-03-2024
-
-